মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে

এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে সবশেষ মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ জন ছাড়িয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) জান্তা সরকার জানিয়েছে, ৩ হাজার ৪০০ জন আহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানানোর তিন দিন পর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, জান্তাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তার প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিয়ানমারে ত্রাণ সামগ্রী এবং উদ্ধার দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং রাশিয়া থেকেও সাহায্য এবং উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ধসে পড়া স্থাপনা। ছবি: সংগৃহীতইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে এবং মানবিক চাহিদা প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে আরেকটি সংকটের আগে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো স্থিতিশীল করা জরুরি প্রয়োজন।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল-এর কাছাকাছি কিছু এলাকার বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সরকারি সহায়তার অভাব রয়েছে। যার ফলে মানুষকে নিজেরাই নিজেদের খরচ চালাতে হচ্ছে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ধসে পড়া স্থাপনা। ছবি: সংগৃহীত
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাতের পর দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার মধ্যে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিয়ানমারে দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে।
৫ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের দেশটিতে সেতু, মহাসড়ক, বিমানবন্দর এবং রেলপথ সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে মানবিক সাহায্য প্রচেষ্টাও ধীর হয়ে গেছে। অন্যদিকে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত, ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে দুর্বল হওয়া অব্যাহত রয়েছে।
-রয়টার্স