মার্কিন বোমায় মারা গেছেন ফিলিস্তিনিরা বললেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে দেশটিতে অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার ইসরায়েল নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি তিনি স্বীকার করেছেন যে গাজার বেসামরিকদের হত্যা করার জন্য সেই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে গত সপ্তাহে ২ হাজার পাউন্ড বোমার চালান স্থগিতের কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘সেই বোমার মাধ্যমে এবং অন্যভাবে গাজায় বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হয়েছে যেন তারা সংখ্যায় কমে যায়।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার বলেছি, তারা যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে আমি অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করে দেব। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে।’
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরায়েলকে বলেছে, তারা যেন রাফায় আক্রমণ না করে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে। সেখানে ১২ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েলের সেনারা রাফার পূর্ব দিকে হামাসের অবস্থানে হামলা করতে চায়। সেজন্য সেনা হাজার হাজার মানুষকে জায়গা খালি করে চলে যেতে বলেছে।
রাফায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জন ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে স্থানীয় কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও আছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তারা মারা যায় বলে কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, লড়াই শুরুর পর থেকে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন মারা গেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর মৃতের যে সংখ্যা দেয়, তার মধ্যে কতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ ও কতজন সন্ত্রাসী তা আলাদা করা হয় না। এটা বাইরের কোনো সংগঠনের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব না। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, মোট মৃতের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু।
বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনার দাবি, তারা প্রচুর হামাস সদস্যকে মেরেছে।
ইউএনএফপিএ বুধবার জানিয়েছে, রাফার প্রধান মাতৃসদন হাসপাতালে নতুন করে কোনো রোগীকে ভর্তি কর হচ্ছে না।
এবিসিবি/এমআই