Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য

মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

মাঙ্কিপক্সে বিশ্বজুড়ে আরও মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও রোগটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হতে দেখার জন্য বিশ্বের দেশগুলোকে প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন তারা।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বা রোগটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বরং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন, এ রোগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। খবর বিবিসির

এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, যদিও রোগের এবারের প্রাদুর্ভাব খানিকটা অস্বাভাবিক। তারপরও বলা যায়, অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ যেমন কভিডের মতো এটি সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।

এটি ছড়াতে খুবই ঘনিষ্ঠ শারীরিক স্পর্শের প্রয়োজন হয়। সাধারণত আক্রান্ত একজনের চামড়ার সঙ্গে অন্যজনের চামড়ার সংস্পর্শ থেকে এ রোগ ছড়ায়।

এছাড়া এটা কোভিডের মতো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু বা উপসর্গহীন নয়। বরং মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীর খারাপ করবে এবং শরীরে ফোস্কার মতো গোটা দেখা দেবে। তাই কেউ এ রোগে আক্রান্ত কি-না, সেটা জানতে পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সরাসরি এই রোগের টিকা এখনও সহজলভ্য না হলেও গুটিবসন্তের টিকা দিয়ে এ ভাইরাস প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ দুই ভাইরাসের মধ্যে মিল রয়েছে।

এমনকী মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য সবার টিকা নেওয়াও প্রয়োজন নেই বলেও মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের।

টিকার বিষয়ে ডা. রোসামুন্ড লুইস বিবিসিকে বলেন, বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত বিলুপ্ত হয়েছে। ওই সময়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গুটিবসন্তের টিকা মাক্সিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

মাঙ্কিপক্সের টিকাও আছে। কিন্তু সেটা তুলনামূলক নতুন এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যদিও ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা টিকা আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছেন।

তবে সবার জন্য টিকার প্রয়োজন নেই বলে মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ফন কেরখোভের। তিনি বলেন, এ রোগ শুধু ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।

এবিসিবি/এমআই

Translate »