Type to search

Lead Story বাংলাদেশ রাজনীতি

‘মনোনয়ন দাখিলের পর বিকল্প কর্মসূচি ভাবছে বিএনপি’

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে কালের কণ্ঠের শিরোনাম, মনোনয়ন দাখিলের পর বিকল্প কর্মসূচি ভাবছে বিএনপি। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার পর হরতাল-অবরোধ থেকে বের হয়ে আসার কথা ভাবছে বিএনপি। এর পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত বা নির্বাচন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘেরাওয়ের কথা ভাবছে দলটি।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠকে বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর আপাতত চলমান কর্মসূচিতে থাকবে না বিএনপি।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০শে নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির শীর্ষ একাধিক নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, মনোনয়নপত্র দাখিল হলে আন্দোলনের একটি পর্ব শেষ হবে। এরপর আগামী সাতই জানুয়ারি ভোটের দিনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের আরেকটি পর্ব শুরু হবে।
এই সময়ে বিক্ষোভ, পদযাত্রা ও ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি বুঝে মাঝে মাঝে হরতালও দেয়া হতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে আসলে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতেই থাকবে দলটি। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে হরতাল এবং নির্বাচন কমিশন ও জেলা পর্যায়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা রয়েছে।
দেশ রূপান্তর পত্রিকার শিরোনাম, ‘যা থাকে তাই নিয়ে লড়বে বিএনপি’। এতে বলা হয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকারসহ সব ধরনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়ে রাজপথের আন্দোলনে শরিক হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট রয়েছে। কেউ যদি সেখান থেকে সরে যায় সেটি তার বিষয় কিংবা তাদের দলের বিষয়। সে অধিকার তাদের রয়েছে। এখানে জোর করার কিংবা জোর দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা থাকবেন তাদের নিয়েই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
গত বুধবার মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। এই খবরটিতে আরো বলা হচ্ছে, বিএনপির সাথে আন্দোলনে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে আরো কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করলেন নজরুল ইসলাম খান।
খবরটিতে বলা হচ্ছে, হঠাৎ কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সতর্ক হয়ে উঠেছে বিএনপি। এ অবস্থায় বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা শরিক দলগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন। দলের শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি থাকায় শরিকদের সঙ্গে সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখন যারা আছেন তারা শরিকদের উদ্দীপ্ত করে আন্দোলন চাঙ্গা রাখতে চায় বলে জানিয়েছে দলটি।

নির্বাচনে দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে সংবাদের শিরোনাম, ইসলামী ৯ দল গণভবনে, অংশ নিতে চায় নির্বাচনে।এই খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়টি ইসলামি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ জন নেতার একটি প্রতিনিধিদল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছে।

এসব রাজনৈতিক দল হচ্ছে- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

বিএনপি না এলেও এই নির্বাচন একতরফা হবে না দাবি করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, ইতোমধ্যে বিএনপির সাবেক অনেক নেতা যোগাযোগ করছেন নির্বাচনে আসার জন্য। বিএনপির জোট থেকেও কয়েকটি দল নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিক ১৪ দল এরইমধ্যে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ গুছিয়ে এনেছে। জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিয়ে ৩০০ আসনে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করছে। বিএনপি থেকে সরে আসা নেতাদের দল তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে।

নির্বাচন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় সেটা দেখি। এতে বলা হয়েছে, বিএনপিকে নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “নির্বাচনে আসুন; কার কত দৌড়, আমরা দেখি। জনগণ কাকে চায়, সেটা আমরা যাচাই করে দেখি। যারা এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে, তাদেরও বলব– নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।“ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না।

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। আসলে নির্বাচনে আসার মতো আস্থা-বিশ্বাসও তাদের নেই। আর একটা দলের মাথা কোথায়? জানি না, বিএনপি কি বাংলাদেশে একজন নেতাও পেল না, যাকে তাদের দলের চেয়ারম্যান করতে পারে!”

যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম পররাষ্ট্র সচিবের দিল্লি সফর নিয়ে নানা আলোচনা। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দিল্লি সফর নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এই সফরে নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় নেতাদের সাথে শলাপরামর্শ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, বিশ্বের যে ৯০টি দেশের বাংলাদেশে কোন দূতাবাস নেই সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে জানাবেন তিনি। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এটাই প্রথম নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বাংলাদেশ সফর ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে তার বৈঠক নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছিল।

প্রতিবেদন, নির্বাচন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট ওয়ান ইন্ডিয়ায় হিন্দিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন একটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন্দল এবং প্রতিদিনই সহিংসতা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়ম হতে পারে- এমন আশঙ্কা বেড়েছে।

এতে আরো বলা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে সক্রিয়। বাংলাদেশের নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশে হয় তা নিশ্চিত করার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২২ নভেম্বর আবারো বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়, কারণ এটাই আমেরিকার নীতি। এর আগে, দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-ও তার চিঠিতে কোনো শর্ত ছাড়াই প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে বণিক বার্তার শিরোনাম, রবি ও সোমবার সপ্তম দফায় অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। এতে বলা হয়েছে, সপ্তমবারের মতো সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বিকালে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সড়ক, নৌ ও রেলপথে অবরোধ পালন করা হবে।

তিনি বলেন, “একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার যে চলমান আন্দোলন, তা অব্যাহতভাবে চলার প্রত্যয়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”

পুলিশ দাবি করেছে, বিএনপির চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি ঘিরে গত ২৫ দিনে ৬৮৬টি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ে কালের কন্ঠের শিরোনাম, রিজার্ভ কমে এখন ২৫১৬ কোটি ডলার। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছেন, বর্তমানে দেশে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

বাফেদা ও এবিবির ডলারের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অর্থনীতি শক্তিশালী করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ইতিবাচক দিকে যাওয়া শুরু করেছে। আর্থিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরছে।

রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন গ্রস রিজার্ভ হিসাব করি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার।’

তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলের অর্থ ৫.৭৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার বাফেদা আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রে ডলারের ৫০ পয়সা দাম কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মান বাড়বে। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলারের চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।-বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »