Type to search

Lead Story রাজনীতি

ব্যালটে ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই, চাই সরকারের পদত্যাগ

রাজনীতিবিদদের সম্মানে সোমবার বিএনপির ইফতার মাহফিলে জামায়াতকে দেখা না গেলেও সরকারের ঘনিষ্ঠ জাতীয় পার্টির নেতারা অংশ নিয়েছেন। এর বাইরে সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত বাম ও ইসলামী ঘরানার অনেক রাজনৈতিক দলকেও দেখা যায়নি। তবে সমমনা রাজনৈতিক জোট ও দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় এ ইফতার মাহফিল।

রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দলটির কোনো ইফতার আয়োজনে জাতীয় পার্টির উচ্চ পর্যায়ের এমন প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

তবে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, তাঁরা ইফতারে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানাননি।

ইফতার মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, এ ব্যাপারে তাঁদের একটুও আগ্রহ নেই। কারণ তাঁরা পরিষ্কার করে বলেছেন, জাতির মূল সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি। নির্বাচনকালীন কোন ধরনের সরকার থাকবে–সেটাই হচ্ছে প্রধান সংকট। এই সংকটের কারণেই দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, স্বাধীনতার মূল চেতনা থেকে দেশ বহু দূরে সরে এসেছে।

তিনি বলেন, সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত হয়ে যে কথাগুলো বলছি তা হচ্ছে-এ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ধুয়া তুলে জনগণকে বোকা বানিয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে, পত্রিকাটির রিপোর্টার শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অত্যাচার-নির্যাতন করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে। নওগাঁর নারীকে র‍্যাব তুলে নিয়ে গেল এবং নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করল, তাঁকে মেরে ফেলা হলো।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় ইফতারে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব, এলডিপির কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির তানিয়া রব, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমদ, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।-সমকাল

এবিসিবি/এমআই

Translate »