বাইডেনের সাক্ষাৎকার ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ নিরসন করতে পারেনি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বিতর্কের পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়ে যে উদ্বেগ, তা একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্কারেও কাটেনি। বরং আরো বেশি ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সরে যেতে বলছেন। কিন্তু কোনো আলোচনা-সমালোচনাই থামাতে পারছেন না তাকে।
দলের নেতা ও সমর্থকদের উদ্বেগ কমাতে গত শুক্রবার রাতে বাইডেন এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাত্কারও দেন; যদিও নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা সাধারণত এ ধরনের সাক্ষাত্কার দেন না। ২২ মিনিটের ওই সাক্ষাত্কারে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বাইডেনের বয়স নিয়ে। বয়স হলেও তা তার দেশ পরিচালনার সক্ষমতায় কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না, নানাভাবে এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের নেতাকর্মীদের উদ্বেগ কমেনি; বরং কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের আরেক ডেমোক্র্যাট সদস্য মিনেসোটার অ্যাঞ্জি ক্রেগ শনিবার বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা প্রকাশ্যে তাকে সরে যেতে বললেন। অবশ্য এখনো দলের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা বাইডেনকে এ ধরনের আহ্বান জানাননি। উলটো প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থা প্রকাশ করে যাচ্ছেন তারা।
সাক্ষাত্কারে বাইডেনকে বলা হয়, তার মিত্ররা তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা এটা করবেন না।’ উপস্থাপক স্টেফানোপোলোস আরেক দফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে জানতে চান। এ সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি না এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কিংবা জেতার যোগ্য আমার চেয়ে বেশি কেউ আছেন।’ কয়েকটি জনমত জরিপে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি কোথাও কোথাও এ উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে, যদি বাইডেনই প্রার্থী থাকেন, তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার হেরে যাওয়া ছাড়াও প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের আসন কমতে পারে। সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারেন তারা।তথ্যসূত্র: উইও নিউজ ও সিএনএন
এবিসিবি/এমআই