Type to search

Lead Story জাতীয় বাংলাদেশ শিক্ষা

বাংলাদেশে কারফিউর মেয়াদ বাড়লো, কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি

সার সংক্ষেপ

  • বাংলাদেশে কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো আরো দু’দিন। আগামীকাল বুধবার এবং বৃহস্পতিবারও কারফিউ বহাল থাকবে এবং এই দুদিন অফিস খোলা থাকবে, তবে নতুন সমষসূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার
  • বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ের আলোকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার
  • দেশ জুড়ে চলছে চতুর্থ দিনের মতো কারফিউ, তবে কিছু কিছু জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হাজার ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ
  • গত কয়েকদিনের সংঘাত-সহিংসতায় সোমবার পর্যন্ত অন্তত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পেরেছে বিবিসি
  • বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ওইদিন রাত থেকে সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে
  • নিখোঁজদের ফিরিয়ে দেয়া, হয়রানি বন্ধ, মন্ত্রীদের পদত্যাগ সহ কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

রাতেই সচল হচ্ছে ইন্টারনেট

মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই সীমিত আকারে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। আপাতত ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই সেবা চালু হবে।

তবে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মি. পলক।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সারাদিন মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সেদিন রাত থেকে ব্রডব্যান্ড সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে গত পাঁচদিন ধরে সারা দেশে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব ও অপতথ্য বন্ধে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আর, সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে দাবি করা হয়, “হামলা ও অগ্নিসংযোগের কারণে” বিটিআরসির স্থাপনা ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম এবং বরিশালে স্বল্প পরিসরে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সহিংসতার কারণে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে আজ মঙ্গলবার থেকে স্বল্প পরিসরে যাত্রীবাহী বাস চালানো শুরু করেছেন চট্টগ্রাম ও বরিশালের বাস মালিকরা।

এর পাশাপাশি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় কক্সবাজার ও কুয়াকাটা থেকে পর্যটকদের বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

মূলত ১৬ই জুলাই থেকেই ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলার বাস ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাত থেকে জারি হওয়া কারফিউর কারণে সেটি আর শুরু করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের সহায়তায় আজ থেকে কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে বাস চলাচল শুরু করেছেন তারা।

“কয়েকদিন পুরো বন্ধ ছিলো। আজ অল্প কিছু যাত্রী এসেছেন কারফিউ শিথিল থাকার কারণে। তারা মনে করছেন, যে পাঁচ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে ঢাকায়, তার মধ্যেই তারা ঢাকায় পৌঁছে যেতে পারবেন,” বলছিলেন মি. চৌধুরী।

চট্টগ্রামে আজ বেলা ১২টার পর কারফিউ শিথিল হয়েছে, আর ঢাকায় কারফিউ বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। এরপর অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছেন মি. চৌধুরী।

অন্যদিকে, বরিশালের বাস সমিতির সভাপতি অসীম দেওয়ান জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাটি থেকেও ঢাকার উদ্দেশ্যে কয়েকটি বাস ছেড়েছে।

“এর বাইরে আঞ্চলিক রুটেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করি কারফিউ আরেকটু শিথিল হলে বাস চলাচল আরও বাড়বে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

প্রজ্ঞাপনকে চূড়ান্ত সমাধান মনে করে না আন্দোলনকারীরা, চার দফা আল্টিমেটাম

কোটা সংস্কার করে জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনকে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে মনে করছে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

একই সাথে চার দফা দাবি জানিয়ে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই প্লাটফর্ম।

কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে আদেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এরপর নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল সংগঠকরা।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মাহিন সরকার।

এর আগে গত তিন দিনে তারা আলাদাভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী ও দাবি দাওয়ার কথা জানালেও এই প্রথম মূল সংগঠকরা এক হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

এই সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে যে রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারে না।

যে কারণে সারাদেশে কারফিউ প্রত্যাহার, ইন্টারনেট সংযোগ চালু, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও সারা দেশের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়।

এই চার দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এই চার দাবি না মানা হলে তারা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবেন তারা।

কারফিউর মেয়াদ বাড়লো, অফিসের জন্য নতুন সময়সূচী

কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো আরো দু’দিন। আগামীকাল বুধবার এবং বৃহস্পতিবারও কারফিউ বহাল থাকবে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই দুদিন অফিস খোলা থাকবে, তবে নতুন সময়সূচী নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

প্রায় পুরো সপ্তাহজুড়েই কারফিউর অধীনে থাকছে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশে কারফিউ জারি রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ অপু জানান, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় কারফিউ’র সময়সীমার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজধানীসহ এই চার জেলায়, আগামী দুইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে কারফিউ শিথিলের সময়সীমার ব্যাপারে সেখানকার জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।

গত তিনদিন কারফিউর কারণে বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও বুধবার ও বৃহস্পতিবার অফিস খোলা থাকবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলি সাদিক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকবে। তবে ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতালের মতো জরুরি সেবা এই অফিস সময়সূচীর বাইরে থাকবে। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবারের জন্য এই সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।

কারফিউ শিথিল থাকলে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে

সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগেই কারফিউ শিথিলের সময় নিজ নিজ অফিস সূচি অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রম চলবে। এছাড়া কারফিউ চলাকালীন সময় এবং শিথিলের সময়ও উভয় বিভাগের অফিস খোলা থাকবে।

তবে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে উচ্চ আদালত এবং অধস্তন আদালত এ ছুটির আওতায় বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশক্রমে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সাধারণত আপিল বিভাগে সকাল নয়টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলে। ওই সময়ের মধ্যে যদি কারফিউ শিথিল থাকে, তাহলে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলবে। অর্থাৎ যদি নয়টার আগে কারফিউ শিথিল হয় তবে আপিল বিভাগের সময় অনুযায়ী নয়টা থেকে বিচারিক কার্যক্রম চলবে। তবে, সোয়া একটার পরে শিথিল হলে কিন্তু কার্যক্রম চলবে না।”

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে কারফিউ শিথিল হলে এ বিভাগের বিচারিক কার্যক্রমও চলবে।

মি. ইসলাম জানান, “কারফিউ থাকুক বা না থাকুক সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে। খোলা থাকবে সব অফিস।”

একইসাথে সব জেলায় সার্বক্ষণিক এক বা একাধিক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

বিচারিক আদালতগুলোতে নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আলোচনা করে বিচারিক কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু ৭৯ জনের

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৭৯ জন ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সারা দেশে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিনে ঢাকা মেডিকেলে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৭৯ জন। সোমবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৭৮ জন।

মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিবিসি সংবাদদাতা তারেকুজ্জামান শিমুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানাচ্ছেন, মৃত ব্যক্তির নাম হৃদয় চন্দ্র।

এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর হাসপাতালটিতে এক হাজারেরও বেশি আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৯ জন। আর সংঘর্ষে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে ৬০ জনকে।

ঢাকার রাস্তায় যেভাবে চলছে সেনা টহল

রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি
কারফিউর মধ্যে রাস্তায় টহল

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,কারফিউর মধ্যে রাস্তায় টহল
রাস্তায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,রাস্তায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড
গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনা সদস্যরা

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনা সদস্যরা

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া উত্তাল আন্দোলন এবং সহিংসতা দমনে সরকার কারফিউ জারি করার পর চারদিন পেরিয়ে গেছে। ঢাকা-সহ বিভিন্ন শহরে সেনাবাহিনীও নামানো হয়েছে। ঢাকায় কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনা সদস্যরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পাহারা দিচ্ছে। সাঁজোয়া গাড়িতে করে রাস্তায় টহলও দিচ্ছে সেনাদল। ঢাকার রাস্তায় সোমবার তোলা এরকম কিছু ছবি

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজ্ঞাপন অনুমোদন করেছিলেন।

“সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রতিপালন করেছে। রায়ের কিছুই পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের নেই। তারা যেভাবে দিয়েছেন আমরা সেভাবেই প্রতিপালন করেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোন অভিপ্রায়ও আমাদের নেই,” এক সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন আইনমন্ত্রীআনিসুল হক।

এ সময় তার সাথে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতও উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সাধারণ বা মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

এর আগে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে কোটা কেমন হতে পারে তার একটি নির্দেশনা দিয়েছিলো। তবে ওই রায়ে বলা হয়েছিলো যে প্রয়োজন হলে সরকার চাইলে এটিকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করতে পারবে।

গত ৫ই জুন হাইকোর্ট বিভাগ কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বাতিল করে দিয়েছিলো। এর পরে কোটা সংস্কারের দাবিতে নতুন করে শিক্ষার্থী আন্দোলন গড়ে ওঠে।

এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত দেড়শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সরকারি বেসরকারি বহু স্থাপনায়, যার মধ্যে মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজাও ছিলো।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত থেকে সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করেছে, যা এখনো বহাল আছে।

সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আরও যা বলেছেন

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আশা করি এখন আর নতুন করে কোন সমস্যা তৈরি করা হবে না এবং পরিস্থিতিরও আর অবনতি হবে না। তবে যদি অবনতির চেষ্টা কোন অপশক্তি করে সে বিষয়ে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো”।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন জনজীবনে যখন স্বস্তি আসবে তখন সরকার কারফিউ প্রত্যাহার করবে। “আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন যে স্বস্তি যতই ফিরে আসছে ততই কারফিউর মেয়াদ কমিয়ে আনা হচ্ছে”।

আন্দোলনকারীরা নতুন করে দেয়া দাবিগুলো না মানলে আবারো আন্দোলনে ফিরে যাবে বলে যে কথা বলেছে গণমাধ্যমে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,“মূলত এটা ছিলো কোটা বিরোধী আন্দোলন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে। আমি আহবান জানাবো যে ছাত্রছাত্রীরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছে সংস্কার চেয়ে এখন তাদেরও কর্তব্য আছে। এখন তাদের স্ব স্ব জায়গায় ফিরে পড়াশোনা করা উচিত”।

তিনি বলেন সরকার ধৈর্য ধরেছে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এ ষড়যন্ত্রমোকাবেলার যথেষ্ট শক্তি সরকারের আছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমরা যত তাড়াতাড়ি শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে সচেষ্ট। সেজন্য আপনারা আশা করতে পারেন যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে”।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মি. হক বলেন সহিংসতার বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

“সহিংসতা যে হয়েছে এতে সাধারণ শিক্ষার্থী যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার বিষয়ে সরকার দেখভাল করবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রী যারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছেন তাদের ব্যাপারে মামলা হওয়ার তথ্য দিলে সেটি আমরা দেখবো। শিক্ষার পরিবেশ ও নিরাপত্তা সরকার তৈরি করবে”।

কোটা বিষয়ে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তার বর্ণনা দিয়ে আনিসুল হক বলেন, কোটা বিরোধীরা যখন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো তার সুযোগ নিয়ে কিছু মহল সহিংসতা করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে।

সব গ্রেডেই মেধায় নিয়োগ ৯৩ শতাংশ, প্রজ্ঞাপন আজ

বাংলাদেশে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডেই ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হতে পারে।

এর আগে, রোববার কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছিল আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং সাত শতাংশ কোটায় নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়।

অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিরও নির্দেশ দেয় আদালত।

আপিল বিভাগের ওই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রস্তুতি নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের আগে সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫৬ শতাংশই বিভিন্ন কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংক্ষুব্ধরা আদালতে রিট করলে গত পাঁচই জুন কোটা পুনর্বহাল করে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

এরপর কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। সে আন্দোলন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গড়ায় এক পর্যায়ে এবং সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকায় ফিরছেন কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকরা

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ঢাকায় ফিরছেন কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকরা। মঙ্গলবার সকালে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ. মনজুর মোর্শেদ বিবিসিকে বলেছেন, কক্সবাজার থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে সকালে মোট ৬৮টি বাসে করে পর্যটকেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সংঘাত-সহিংসতার কারণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন প্রায় চার হাজার পর্যটক।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মি. মোর্শেদ বলেছেন, মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একেকটি বাসে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ জন করে যাত্রী রয়েছেন।

“দিনের আলো থাকতে থাকতে তাদেরকে ঢাকায় পৌঁছে দেবে সেনাবাহিনী,” তিনি বলেন।

তিনি জানিয়েছেন, এখনও পাঁচ শতাধিক পর্যটক কক্সবাজারে আটকে আছেন। তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে তাদের গন্তব্যে পাঠানো হবে।

“তবে কেউ যদি চান, তবে তিনি কারফিউ জারি থাকা অবস্থায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও ঢাকায় ফিরতে পারবেন” জানিয়েছেন মি. মোর্শেদ।

“সেক্ষেত্রে তার কাছে অবশ্যই কারফিউ পাস থাকতে হবে।”

ঢাকার আট থানার ওসি বদলি

ঢাকা মহানগরীর আটটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসিকে বদলি করা হয়েছে।

থানাগুলো হলো – ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, দারুস সালাম, তুরাগ এবং কামরাঙ্গীরচর।

এমন এক সময় এসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি করা হলো, যখন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার ওইসব এলাকায় বেশ সংঘাত-সহিংসতা হতে দেখা গেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই ঢাকার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে।

নরসিংদীতে আত্মসমর্পণের জন্য জড়ো হয়েছেন একশোর মত জেল পালানো কয়েদি

নরসিংদীর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রায় একশত জেল পালানো কয়েদি আত্মসমর্পণের জন্য জড়ো হয়েছেন।

সেখানকার আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ বিবিসি জানিয়েছেন, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আত্মসমর্পণের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

পরে আইনজীবী সমিতি এসব কয়েদিদের সঙ্গে সমন্বয় করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট কাজী নাজমুল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের সকলেই কোন না কোন মামলার আসামী। সেই সূত্রে তারা নিজ নিজ মামলার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন।”

“জেলা প্রশাসন এবং আদালতের সঙ্গে সমন্বয় করেছি আমরা। আজকের মধ্যেই এসব কয়েদি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।”

নরসিংদীর জেল সুপার কামরুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “বিষয়টি এখন আদালতের ব্যাপার।”

বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারফিউ শিথিল

সারাদেশে মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারফিউ শিথিল করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

এর আগে সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিং করে এভাবে কারফিউ শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলার কারফিউ শিথিল করার কথা ঘোষণা করা হয়।

এর মধ্যে ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দুপুর একটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।

এছাড়া একেক জেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারফিউ শিথিলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় ঠিক করছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলায় সকাল ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকেরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘কোর কমিটি’র সাথে আলোচনার পর কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, “পরবর্তী আর কোন সিদ্ধান্ত না আসলে কারফিউ চারটার পরে আবার জারি থাকবে।”

এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বেলা ১১টায় কারফিউ শিথিলের পর ঢাকা – চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী কিছু বাস চলাচল শুরু করেছে।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেছেন, তার বিভাগে বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।

এছাড়া, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুরে বেলা ১২টা থেকে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

এদিকে, ফেনি জেলায় সকাল ১১টা থেকে কারফিউ শিথিল হয়েছে, বিকাল চারটা পর্যন্ত শিথিলের পর আবার বজায় থাকবে।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, পিরোজপুর, রাজশাহী, মুন্সীগঞ্জ, মাগুরা, ভোলা, নীলফামারী, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ।

কারফিউ শিথিলের পর রাজশাহী থেকেও কিছু যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

পাবনায় দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল হয়েছে।

রংপুরে দুপুর দুইটা থকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।

বিবিসি বাংলা

Translate »