নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি না করলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে: মির্জা ফখরুল
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। তবে এই নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন।
সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদেরকে বলুন একবার আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে। কি করছেন আপনারা? আজকে যারা রাজনীতি করেন তারা একবারও তাকান না নিজের দিকে। আজকের এই অন্ধকারের সরকার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। উন্নয়ন বিএনপিও চায়, কিন্তু সেই উন্নয়ন মানে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া নয়।
আসন্ন পৌরসভার চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রতি মানুষের ব্যাপক সমর্থন দেখা যায় এমনি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে ভোটাররা, ভোট দিতে পারে, ভোট চুরি ও ডাকাতি করে যদি না নেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে।
বিগত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে সরকারদলীয় লোকেরা রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে, জোর করে ভোট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচন দেখেছি প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নেতা-কর্মীরা ভোট ডাকাতি করে নিয়েছে ঠিক ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
