নির্বাচনের আগে জোটবদ্ধ হওয়াটা কমন ব্যাপার: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে, নির্বাচনে এই জোটবন্ধ হওয়াটা ইলেকশনের আগে এটা কমন ব্যাপার। সব দেশে, পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। ভারতেও মুসলিম লীগ আর কমিউনিস্ট পার্টি একসঙ্গে জোট বাঁধে।
মঙ্গলবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে কিভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির বর্তমান সম্পর্কের অবস্থান স্পষ্ট করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন কিন্তু আমরা কারও সঙ্গে জোটবদ্ধ নই। আমরা আছি যুগপৎ আন্দোলনে। আমাদের সঙ্গে যে দলগুলো আছে, আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। কিন্তু কোনো জোট আমাদের সঙ্গে নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করা পর্যন্ত থাকবেন। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।
বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুললে ছাত্র নেতারা বলেন শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের খুব পরিষ্কার করে বলা আছে, আমরা আন্দোলন করছি, রাজনৈতিক দল করছি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে। আর গণতন্ত্রে ঢোকার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে নির্বাচন। যেহেতু তিন তিনটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকার নষ্ট করে দিয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আমার ভোটের অধিকারটা তো প্রথম অধিকার নাগরিক হিসেবে। আমি এই দেশের মালিক। আমার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে, আমার ভোটটা। সেটাই তো আমরা দিতে পারিনি। সুতরাং নির্বাচন চায় না বা নির্বাচন প্রধান নয়-এ কথা চিন্তা করাও তো ভুল। নির্বাচনটা আমরা মনে করি প্রধান। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আমি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারব। আমি গণতান্ত্রিক সংবিধানের পরিবর্তনগুলো আনতে পারব। গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র আবার পুনর্নির্মাণ করতে পারব। এছাড়া আমার বিকল্প কিছু নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের কথা বলছে তা নির্বাচিত সরকার ছাড়া পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে যুক্তি দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সংস্কারের অনুমোদন নেওয়ার জন্য নির্বাচিত সংসদের প্রয়োজন হবে। এ কারণেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন।
-যুগান্তর