দেশটাকে একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোভিড-১৯ এখন আমাদের আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো কিছু করার নেই। টিকা প্রথম বার যারা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় বার সবাই ভ্যাকসিন পাবেন কি না তা জানি না আমি। কারণ, যা শুনতে পাচ্ছি যে, রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে ভারত।
একজন কিছুদিন আগে জানিয়েছে যে, একটা মাত্র দেশের (ভারত) ওপরে এই যে নির্ভর করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা—এটাও তো একটা ক্রিমিনাল ওফেন্স। আপনাকে একটা সরকার চালাতে হলে খোলা রাখতে হবে অনেক পথ। আপনি চীনকে বলে দিলেন যে, না তোমার এটা আমার প্রয়োজন নেই। ভারত থেকে নেওয়া শুরু করলেন আপনারা। তাও আবার অনেক বেশি দামে, তাও ব্যক্তি মালিকানায় একজন ব্যবসায়ীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তার কাছ থেকে এই টিকা আপনি নিচ্ছেন। এটা নেওয়া যেত গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট।
গতকাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও ফারাহ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজমুদার, জেএসডির কার্যকরী সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া, আ ক ম আনিসুর রহমান খান কামাল, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার, সহসভাপতি তৌহিদুল হোসেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি নয়, হেফাজতে ইসলামের সাথে সরকারই সম্পৃক্ত। তিনি জানান, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সরকার। ২৬ মার্চের পর থেকে গত কয়েক দিনে বোধ হয় কয়েক হাজার আটক করে ফেলেছে এবং শুনলে অবাক হবেন আমাদের ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া, চট্টগ্রাম, ঢাকায় বিএনপি কর্মীরা রাতে বাসায় থাকতে পারে না।দেশটাকে একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।