Type to search

Lead Story জাতীয় স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু রোগীদের জীবন বিপন্ন: ৯ রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮২

দেশের ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। আইসিইউ সাপোর্টের অভাবে রোগীদের আর্তনাদ বাড়ছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন উদ্বেগজনক ছিল, সেই সময় আইসিইউ শয্যা নিয়ে যেমন হাহাকার ছিল, তেমন চিত্র আবারও ফিরে এসেছে। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র ফাঁকা না পেয়ে রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে স্বজনদের।
আইসিইউ বেডের জন্য রোগীদের নিয়ে ১ হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন স্বজনেরা। এমনকি সংবাদপত্র অফিসে ফোন করে আইসিইউর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন অনেকে। সাধারণ মানুষের এই আর্তিতে বিব্রত হন চিকিৎসকেরা। কেবল চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তাদের। আইসিইউ শয্যা না পেয়ে স্বজনেরা রিস্ক বন্ডে সই করে সাধারণ ওয়ার্ডে সেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন গুরুতর মুমূর্ষু রোগীর।

ডেঙ্গু জ্বরে শনাক্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর এক দিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর এক দিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১তে। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪০ হাজার ৯৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৭ হাজার ৬৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৭ জন। এটা সরকারি হিসাব। বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি। ডেঙ্গু বাড়লেও মশা নিধনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনও পৌরসভা আছে, যেখানে জীবনে মশা মারার ১ ফোঁটা ওষুধও ছিটানো হয়নি। রাজধানীতে এখন প্রচুর মশা।

নিন্দুকেরা জানান, মশা বাড়লে সিটি করপোরেশনের একশ্রেণির কর্মকর্তার লাভই হয়। কারণ তারা নানা জিনিসপত্র কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে নিম্নমানের জিনিসপত্র কিনে মোটা অঙ্কের টাকা তারা পকেটে ভরেন।

এবিসিবি/এমআই

Translate »