চীনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বিএসএমএমইউ
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য চীনের আনহুই ঝিফেই ফার্মার প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গতকাল সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২ সেপ্টেম্বর চীনের আনহুই ঝিফেই লংকম বায়োলজিক ফার্মাসির কাছ থেকে প্রথম চিঠি পেয়েছে বিএসএমএমইউ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের এই চিঠি পেয়েছে বিএসএমএমইউ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১১টি পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর থেকে তারা আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। গতকাল (রোববার) তারা আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি পর্যালোচনা করছি।’
এর আগে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক লিমিটেড বাংলাদেশে তাদের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আইসিডিডিআর,বি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও ‘তহবিল ঘাটতি’র কথা জানিয়ে পরীক্ষার পরিকল্পনা বাতিল করে সিনোভাক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে প্রায় এক মাস দেরি হওয়ার কারণে সিনোভাক পরীক্ষার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে যায়।
আনহুই ঝিফেইয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। তবে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে (পরীক্ষার অনুমতি দিতে) প্রস্তুত।’
তিনি জানান, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
কর্মকর্তারা জানান, আনহুই ঝিফেই তাদের প্রস্তাবে পরীক্ষার ব্যয় বহন করার কথা জানিয়েছে। ভ্যাকসিনটি পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উত্পাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, আইসিডিডিআর,বি অন্য একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ডেইলি স্টার