ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে পাঁচ জেলায় ৯ জনের মৃত্যু
দেশের মধ্যভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ এবং রাত নয়টায় মূল কেন্দ্র দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও দমকা বাতাস প্রবাহিত হয়েছে।
প্রতিকুল আবহাওয়ার ফলে বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় ১ জন করে মোট ৯ জন নিহত হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা অন্যান্য স্থান থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় টেলিযোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসময় মানুষের মাঝে দুর্ভোগ ও আতঙ্ক দেখা দেয়। অন্যদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উপকূলের ১৫টি জেলার নদ–নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতা নিয়ে আছড়ে পড়ে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সোমবার দিবাগত রাতেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রাজধানীর ওপর দিয়ে সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। এ সময় এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলসহ দেশের ১৫টি উপকূলীয় জেলাকে সাত নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এবিসিবি/এমআই