খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে: মির্জা ফখরুল
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে একথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, এ সরকারকে যদি বিদায় করতে না পারি, তাহলে বিপন্ন হবে এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এ সরকার অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, জনগণের অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য, তরুণ নেতা তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমানে প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে ভোট চুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরো জানান, ৩০ ডিসেম্বর ভোট না করেই এ ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। আজকের এ দিনকে ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করি আমরা। আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত পেতে চাই আমরা। আমাদের পত্রিকায় লেখার অধিকার আমরা ফেরত পেতে চাই। সাংবাদিক ভাইয়েরা এখানে আছেন, সব কিছু লিখতে পারবেন না তারা। কারণ তাদের ওপর দেওয়া আছে ডিজিটাল আইন। কিছু বললেই মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া হয় সাংবাদিককে।
মহাসচিব বলেন, সারাদেশের জনগণের দাবি, বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি কানে যায় না সরকারের। যদি বেগম জিয়ার কিছু হয়, এর দায় নিতে হবে সরকারকে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এবিসিবি/এমআই
