Type to search

Lead Story রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে ‘জন্মদিনে’ ফুলেল শুভেচ্ছা বিএনপির

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘৭৭তম জন্মদিনে’ ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে দলীয় প্রধানের বাসভবন ফিরোজায় ফুলের তোড়া পৌঁছে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও পৃথকভাবে তার বাসায় ফুল দিয়ে আসেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে তাদের কারও দেখা হয়নি।

বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে ‘জন্মদিন’ উপলক্ষে ফুলের তোড়া পৌঁছে দিয়েছেন সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েকজন। বাসভবনে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রেখে দেন এসব ফুলের তোড়া।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও বিএনপি দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়ার ‘জন্মদিন’ পালন করছে। বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালনের বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে দলটি জন্মদিনের কেক কাটার মতো কর্মসূচি পালন করেনি। তবে আজ সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা, কোভিড-১৯সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত ও অসুস্থদের আশু সুস্থতা কামনা করে সারাদেশে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচি পালন করবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

২০১৬ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার ‘জন্মদিন’ পালনের নিয়মে পরিবর্তন আসে। ওই বছর থেকে আর কেক কাটেন না, ঘটা করে দিবসটি পালনও করেন না তিনি। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ ও জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে ২০১৯ সাল থেকে ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৬ আগস্ট মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ বছরও গত বছরের মতো কর্মসূচি পালন করা হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে জন্ম নেন। তার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও দিনাজপুরে বসবাস করতেন তিনি। বেগম জিয়ার জন্ম সেখানেই। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালের আগস্টে জিয়াউর রহমানের সাথে বিয়ে হয় তার।

Translate »