এক ডোজ টিকার জন্য ৩৪০ টাকা নেবে সিরাম
বাংলাদেশ প্রথম ধাপে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে এই টিকা পাওয়ার কথা।
প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসাবে পুরো ৩ কোটি টিকা বাংলাদেশে আসবে। সিরাম ইনস্টিটিউট কত দামে সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করছে তা এতদিন অজানা ছিল। সিরাম প্রতি ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে ৪ ডলার করে নেবে। এই দাম ভারতে ভ্যাকসিনটির দামের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, সিরাম ভারতে ২০০ রুপি বা ২ দশমিক ৭২ ডলারে প্রতি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ভারতে ২৩০ দশমিক ৯৪ টাকা পড়ছে। বাংলাদেশের কাছে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ৪ ডলার বা ৩৩৯ দশমিক ৬২ টাকায়।
সোমবার সরকার জানিয়েছে, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সিরামের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছবে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা যাবে। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন পাবে দেশের ৫০ লাখ মানুষ।
গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
আর ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত আগস্টে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।