ইসরায়েলে হামলা ইরানের: সামরিক শক্তিতে কোন দেশ এগিয়ে

ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত ড্রোনগুলো স্থানীয় সময় রোববার রাত ২টায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে। ইসরায়েলি বাহিনীগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সব ‘লক্ষ্যবস্তু পর্যবেক্ষণ করছে’ বলেও জানিয়েছে এটি।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসরায়েলে হামলা চালানোর সক্ষমতা ইরানের কতটুক রয়েছে। আন্তর্জাতিক সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চেয়ে সামরিক শক্তিতে কিছুটা এগিয়ে ইরান। ফায়ার পাওয়ার সূচকে ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।
এছাড়া নিয়মিত সেনাতেও ইসরায়েলের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইরান। ইরানের যেখানে নিয়মিত সেনার সংখ্যা ৬ লাখ ১০ হাজার। সেখানে ইসরায়েলের ১ লাখ ৭০ হাজার। তবে রিজার্ভ সেনা ইসরায়েলের কাছে বেশি। ইরানের রিজার্ভ সেনা আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। আর ইসরায়েলের আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।
মোট সামরিক উড়োজাহাজ ইসরায়েলের কাছে আছে ৫৫১টি। অপরদিকে ইরানের কাছে আছে ৬১২টি। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের কাছে ইরানের চেয়ে দ্বিগুণ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিমান রয়েছে ২৪১টি। ইরানের কাছে রয়েছে ১১৬টি।
পরিবহন উড়োজাহাজ ইসরায়েলের চেয়ে ইরানের কাছে ৭ গুণ বেশি। ইসরায়েলের পরিবহন উড়োজাহাজ রয়েছে ১২টি। সেখানে ইরানের পরিবহন উড়োজাহাজ রয়েছে ৮৬টি। ইরানের চেয়ে হামলায় ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের সংখ্যা ইসরায়েলের বেশি। ইরানের এমন হেলিকপ্টার আছে ১৩টি। ওইদিকে ইসরায়েলের আছে ৪৮টি। এছাড়া ইরান ও ইসরায়েলের রয়েছে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। তবে এই ক্ষেত্রে ইসরায়েল এগিয়ে। ইসরায়েল আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া।
স্টোকহোম পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে—ইসরায়েলের হাতে রয়েছে ৯০টি পরমাণু বোমা। তবে, এখনো ইরানের হাতে এ ধরনের অস্ত্র থাকার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যদিও ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের দাবি—এই মারণাস্ত্র তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তেহরান। যদিও ইরানের দাবি—কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র বানানো নয়; তাদের পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।
এবিসিবি/এমআই