ইন্দোনেশিয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রীদের মৃত্যুর আশংকা, অনুসন্ধানের কাজ চলছে
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত শ্রীজয়া এয়ার বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটির অনুসন্ধানের কাজ চলছে। গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) জাকার্তা থেকে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করার ৪ মিনিট পর নিখোঁজ হয়ে যায় এই বিমানটি। তবে বিমানের সন্ধান না মিললেও সাগরের এখানে-সেখানে ভেসে উঠছে জামাকাপড়, দেহাবশেষ ও লাইফ জ্যাকেটসহ নানা জিনিসপত্র। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানের কোনো আরোহীর জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো জাহজোনো জানান, বিধ্বস্ত এসজে ১৮২ ফ্লাইটটির ২টি ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করছে এবং আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাবো।
বিমানে থাকা কাউকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত না করতে পাড়ায় নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে যাত্রীদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়ে। জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার কোনও আশা নেই বলে ধারণা করছে অনেকেই।
জানা যায়, লাকি দ্বীপের আশপাশের এলাকাতে ২টি সংকেত পাওয়া গেছে। একটি সংকেত বিধ্বস্ত বিমান থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের দেহবাশেষও খুঁজে পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বিকেল পর্যন্ত তারা ৫টি ব্যাগ গ্রহণ করেছে, যেগুলোতে দেহাবশেষ ছিল।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, বিমানের ভাঙা চাকা, টায়ার ও শিশুদের গোলাপি রঙের একটি জামা এবং লাইফ জ্যাকেট পাওয়া গেছে। বিমানের ৬২ আরোহীরা সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ শিশু ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াহিউদ্দিন আরিফ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের সম্ভাব্য একটি টুকরা পাওয়া গেছে। এক মিটারের মতো সেটি দৈর্ঘ্যে।