আমেরিকার আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয়:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘গুরুতর’ অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এই বাহিনীর সাবেক এবং বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওই অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অস্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকার আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয়। কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় আইনানুগ ব্যবস্থা।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে ‘আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা স্মারক-২০২১’ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা হয়ে থাকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে। কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, আমেরিকা বস্তুনিষ্ঠভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং বাংলাদেশে। মাদক কারবারিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করে আগ্নেয়াস্ত্র। দেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী অভিযান চালালে অস্ত্র ব্যবহার করায় তারাা গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার ওই তালিকায় বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ও এ বাহিনীর সাবেক-বর্তমান ৬ কর্মকর্তার নামও রয়েছে।
এবিসিবি/এমআই