Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করলেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক সপ্তাহ বিলম্ব করার পর রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) ৯০০ বিলিয়ন ডলারের কোভিড রিলিফ এবং সরকারি ব্যয়ের বিলে সই করেছেন। এর ফলে আমেরিকা সরকার অচল হওয়ার আশঙ্কা দূর হল।

ফ্লোরিডায় ক্রিসমাসের ছুটিতে থাকা মার-এ-লাগো রিসোর্ট থেকে ট্রাম্পের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেকারত্বের সুবিধাগুলো পুনরুদ্ধার করতে, ভাড়া সহায়তা সরবরাহ, উচ্ছেদ বন্ধ করতে, পিপিপির জন্য আরো অর্থ, এয়ারলাইন কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে আনতে, ভ্যাকসিন বিতরণে অর্থ আরো দিতে এবং অনেক কিছুর জন্য আমি এই বিলে স্বাক্ষর করছি।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিলে সই দিতে অসম্মতি জানান। এতে উভয় দলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

গত মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বিলটিকে অপব্যয়’ ও ‘অসম্মানজনক’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি জানান, বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড-১৯ রিলিফ বিল’, কিন্তু কোভিডের সঙ্গে এর প্রায় কোনো সম্পর্কই নেই।

এ নিয়ে বাইডেন বলেন, এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। প্রায় দেড় কোটি বেকার যুক্তরাষ্ট্রের বেকার-ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।

নতুন এই বিলের ফলে করোনাকালে চাকরি হারানো বেকার আমেরিকানরা ১ জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ ডলার বর্ধিত বেকার ভাতা, ৬০০ ডলারের এককালীন প্রণোদনা, কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণসহ সুদুরপ্রসারী সুবিধা রাখা হয়েছে।

এছাড়া নতুন প্রণোদনায় প্রাপ্তবয়স্কের জন্য সরাসরি এককালীন ৬০০ ডলার প্রদান, অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের জন্য এককালীন সরাসরি ৬০০ ডলার, এছাড়া পেচেক প্রোটেকশন প্রোগ্রামের প্রায় ২৮৪ বিলিয়ন ডলার, প্রতি সপ্তাহে ৩০০ ডলার বর্ধিত বেকার ভাতা, বাড়ি ভাড়া সহায়তাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার, উচ্ছেদের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো এবং স্কুল ও কলেজগুলির জন্য ৮২ বিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Translate »