Type to search

Lead Story অপরাধ বিনোদন

অন্ধকার জগত পরীমনির

র‌্যাবের হাতে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি আটক হওয়ার পর থেকে তার অন্ধকার জগতের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসা থেকে এই অভিনেত্রীকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে  উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি বিপুল মাদক।

জানা গেছে, সিনেমা শুটিংয়ের আড়ালে পরীমনি মূলত প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ হতেই বেশি পছন্দ করতেন। রাজধানীর ৫ তারকা হোটেলে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে দেখা যায় তাকে। প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত তিনি পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন।

এছাড়া পরী ধূমপানে অভ্যস্ত (চেইন স্মোকার)। তার ফ্ল্যাটে বিদেশি সিগারেট ও মদের মিনি বার। তার ফ্ল্যাট থেকে রাশিয়ান ভদকা, টাকিলা, জিন, হুইস্কি ও বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, কয়েকটি ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে পরীর। যার বেশিরভাগই পেয়েছেন তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। টাকার নেশা ছাড়ে না তাকে। একপর্যায়ে তিনি নাম লেখান পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ জগতে।

এজন্য তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন পরি। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে শিকার হন ব্ল্যাকমেইলিংয়ের।

পরীর ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন- পুলিশ কর্মকর্তা, আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সাথে ঘুরতে যান। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হ্যারিয়ার গাড়ি উপহার দেন তাকে। চেয়ারম্যানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া পরীর বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, পরীকে গ্ল্যামার জগতে নিয়ে আসেন রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার কথিত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল  ইসলাম রাজ। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে দীর্ঘদিন তার কাছেই থাকতেন পরীমনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Translate »