Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

হামলার জন্য সালমান রুশদী ও তার সমর্থকরাই দায়ী

হামলার জন্য বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদি এবং তার সমর্থকদেরই দায়ী করেছে ইরান। দেশটি বলেছে, রুশদির ওপর ছুরি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার অধিকার কারো নেই। গতকাল সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন দাবি করেছে। এদিকে সামলান রুশদি ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি আগের মতোই হাসপাতালে তার কাছে থাকা মানুষদের সঙ্গে খোশগল্প করেছেন।

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি অবস্থা গুরুতর। তবে তিনি এখনো উচ্ছল রয়েছেন। হাসিঠাট্টাও করছেন। রুশদির ছেলে জাফর রুশদি এসব কথা বলেছেন। জাফর রুশদি বলেন, তার বাবাকে যেভাবে আঘাত করা হয়েছিল, তাতে তার জীবন নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। রুশদির ওপর হামলার জন্য অনেকেই ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন। হামলাকারীর মোবাইলে ইরানের সাবেক জেনারেল কাসেম সোলেইমানির ছবি পাওয়া গেছে। আবার ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর সালমান রুশদিকে হত্যার জন্য ফতোয়া ঘোষণা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। গত ১২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি সাহিত্য সভায় বক্তৃতা দেওয়ার আগে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন হাদি মাতার নামের এক যুবক।

এ হামলার ঘটনায় প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, বাকস্বাধীনতা ধর্মের বিরুদ্ধে রুশদির অবমাননাকে ন্যায্যতা দেয় না। ১৯৮৮ সালে লেখা তার ‘শয়তানের পদাবলী’ উপন্যাসে ধর্মাবমাননা করা হয়েছে বলে অনেক মুসলমান মনে করেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইরানি মুখপাত্র বলেন, সালমান রুশদির ওপর হামলার সময়ে স্বয়ং তিনি ও তার সমর্থকদের ছাড়া আর কাউকে ভর্ত্সনা ও নিন্দাযোগ্য মনে করি না। এক্ষেত্রে ইরানকে দায়ী করার অধিকার কারো নেই। ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসলামের পবিত্রতার অবমাননা করে রুশদি নিজেকে গণক্ষোভের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। পৃথিবীর দেড়শ কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করে বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছেন। তবে সামাজিকমাধ্যমে যেসব তথ্য এসেছে, তার বাইরে হামলাকারী সম্পর্কে কোনো তথ্য তার জানা নেই বলেও জানান তিনি। —বিবিসি ও রয়টার্স

এবিসিবি/এমআই

Translate »