Type to search

Lead Story রাজনীতি

সিইসি নূরুল হুদার এক চোখ ‘কানা’ এক কান ‘ঠসা’ বললেন রিজভী

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ‘এক চোখ কানা, এক কান ঠসা’ বলে সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সিইসির কড়া সমালোচনা করে তিনি জানান, ‘এই যে প্রধান নির্বাচন কমিশন উনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীকে শুধু দেখতে পান। কিন্তু জনগণ, নির্বাচন, ভোটার, নির্বাচনে ভোটডাকাতি, কারচুপি-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে- এগুলো উনি দেখতে পান না। এগুলো যদি উনি দেখতে পেতেন তা হলে নির্বাচন ব্যবস্থা যে শেষ হয়ে গেছে, ভোটাধিকার যে হরণ হয়ে গেছে, এ অবস্থাটা আজ হতো না দেশের।’

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ফজলুল হক মিলন (বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক) বলেছেন, শ্রীপুরে বিএনপির প্রার্থীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার মতো অবস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে এরা কত বড় দুর্বৃত্ত, এরা কত বড় কাপুরুষ যে সিরাজগঞ্জে একজন নারীকে গুলি করে চোখ অন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু তখনও এত বড় ঘটনায় গুরুত্ব দেননি নির্লজ্জ এ নির্বাচন কমিশনার।

’বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ বলেন, ‘কাপড় বিক্রেতা শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করে, পতিতা দেহ বিক্রি করে, সবজি বিক্রেতা আলো টমেটো বেগুন বিক্রি করে, আর কেএম নূরুল হুদা ‘আত্মা বিক্রি’ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার প্রার্থীরা দেশের সব জায়গার প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে দুর্বৃত্তরা ঢুকছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢুকছেন, এসব ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। অথচ আত্মা বিক্রি করা এই নির্লজ্জ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটের পর দিন ৩১ ডিসেম্বর লজ্জার মাথা খেয়ে বললেন- ‘নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে, সঠিক হয়েছে’।

রিজভী বলেন, ‘যে ব্যক্তি খারাপ সে সব দিক দিয়ে খারাপ। যে আত্মা বিক্রি করতে পারে যার আত্মা নেই, যে সত্য কথা বলতে পারে না সে চুরি করতে পারে টাকাও। তার কমিশনের বিরুদ্ধে টাকা চুরি করার অভিযোগ করেছে, দেশের ৪১ বুদ্ধিজীবীর এ অভিযোগকে পাত্তাই দেননি তিনি। কারণ বর্তমান সরকারের ক্ষমতাটাই শুধু প্রয়োজন আর শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এ রকম নির্বাচন কমিশন দরকার।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ আমরা কেএম নূরুল হুদার কথা বলছি, শেখ হাসিনার চাকর-বাকরদের নিয়ে তিনি তো বসেছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের হত্যাকারী কে? দেশের শত্রু কে? স্বাধীনতার সর্বশত্রু কে? সুষ্ঠু ভোটের শত্রু কে? দেশের সার্বভৌমত্বের শত্রু কে? শেখ হাসিনা। নিশ্চিত করতে হবে তার পদত্যাগ। তার পদত্যাগ নিশ্চিত করলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হবে। সুষ্ঠু ভোট হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষক দল সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল,  ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Translate »