রাষ্ট্র ও পুরো প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ফেলেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে একটি জোটবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার অব. আ স ম হান্নান শাহের ৫ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া, কৃষক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর বিএনপির ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রয়াত হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে দলীয় ভিত্তিতে লোক নেওয়া হচ্ছে। এভাবে পুরো প্রশাসনকে তারা (সরকার) দলীয়করণ করে ফেলেছে, দলীয়করণ করে ফেলেছে রাষ্ট্রকে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, দলের ৫০০-র বেশি নেতাকে গুম এবং সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে, নির্বাচনের কথা বলে। আসলে কেউ যেন ভোট দিতে না পারে, তারা সেই ব্যবস্থা তৈরি করেছে। আজকে জনগণ কথা বলতে পারে না, কেউ কথা বলার সাহস পায় না। আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ছেলেরা এমনকি বিএনপির বয়স্ক লোকেরা এলাকায় থাকতে পারছে না।
এবিসিবি/এমআই