Type to search

Lead Story অপরাধ সারাদেশ

রাজধানীতে টিকাকেন্দ্রে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য অনলাইন নিবন্ধন ঝামেলা এড়িয়ে দেশব্যাপী সরকার গণটিকা কর্মসূচি চালু করেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে আজও। রাজধানীর একটি কেন্দ্রে পাওয়া গেছে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ।

ভ্যাকসিন পাওয়া অনিশ্চিত জেনেও ভোর থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগরবাসীকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রে ভ্যাকসিন সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষকে টিকা নিতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করেও টিকা না পেয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন।

কিছুদিন আগেও ভ্যাকসিন দিতে এত মানুষের আগ্রহ দেখা যায়নি। অনলাইনে নিবন্ধনে ঝামেলা ছাড়া সহজে কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ থাকায় অনেকে আগ্রহী হয়েছেন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষত নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ এসব ভ্যাকসিন কেন্দ্রে বেশি ভিড় করছে। এছাড়া কোভিড-১৯ ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে নিজেকে নিরাপদে রাখতে টিকা নিতে এসেছেন অনেকেই।

আজ সরেজমিনে লক্ষ্য করা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় গণটিকা কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। অভিযোগ উঠেছে কিছু কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলারও।

টিকা কেন্দ্রে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা হাবিব জানান, ‘ফজর নামাজ শেষ করেই টিকা কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।’

তিনিও জানান, ‘কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর পারছি না। এজন্য আমার জায়গায় একজনকে দাঁড় করিয়ে বসলাম। আর কখন ভ্যাকসিন পাব বুঝতেছি না। দেখছেনই তো অনেক ঝামেলা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিতে আসা অনেককে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।’

সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও কেন্দ্রে অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি লেক টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান ইমন জানান, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, চলবে ৩টা পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি কোন ঝামেলা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার। তবে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন তো কম। সাড়ে ৩০০ টিকার বিপরীতে আনুমানিক ২ হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাইকে কীভাবে টিকা দিবো। নির্ধারিত ভ্যাকসিন শেষ হলে যেকোনো সময় আজকের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

টিকাকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে জানান, ‘হাজার হাজার মানুষ টিকা নিতে অপেক্ষা করছে, সবাইকে তো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তাই কিছু বিশৃঙ্খলাও তৈরি হচ্ছে।’

চলমান ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন কর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন সেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।

Translate »