‘বিএনপি’র গন্তব্য কোথায়’

রাজনীতির মাঠে বিএনপির অবস্থান নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপি’র গন্তব্য কোথায়’?
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার বাইরে বিএনপি যখন সমাবেশ করেছে, তখন দেখা গিয়েছে বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গানো জনস্রোত। চিড়া-মুড়ি হাতে দুই তিন দিন আগেই হাজির মানুষ।
দলটির সমর্থক রিকশা চালকদের মিডিয়ার সামনে দৃঢ়চেতা বক্তব্য, মিছিল কিংবা নীরব সমর্থকদের অবস্থান তো রয়েছেই। বিএনপি’র রাজনীতির এটাই ছিল ট্রেড মার্ক।
প্রায় ১৮ বছর ধরে মসনদের বাইরে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলা, কারাভোগ, নির্যাতনের পরেও দলের হাল ধরে রেখেছেন।
কিন্তু বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হচ্ছে, এই কর্মী শক্তিকে কি বিএনপি কাজে লাগাতে পারবে? দলটি কি আবার চাপে ভেঙে পড়বে? নাকি খেলার অঙ্ক পাল্টে দিবে?
সবশেষ নির্বাচনে বিএনপি’র বিপর্যয় সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে। চূড়ান্ত মুহূর্তে এসে এবারো ভেঙে পড়েছে বিএনপির আন্দোলন।
সরকার এগিয়েছে চেনা ছকে। বিএনপি’র জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো পথই খোলা রাখা হয়নি।
বিএনপি কেন ব্যর্থ হলো এ নিয়ে দলটির ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা চলছে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচন বা কর্মসূচি কোনো ক্ষেত্রেই কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। আন্দোলনে কোনো প্ল্যান-বি ছিল না।
হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তাঘাটে পালিয়ে বেড়িয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানো যায়নি বা তারা মাঠে নামেননি।
পল্টনের হুঙ্কার কিংবা লিফলেট বিতরণ আসেনি। ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মীর হাস্যকর কিছু মিছিলও হয়েছে।
দলটির নেতাদের ধারণা ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কারণে প্রশাসন বা বাহিনী এবার কঠোর অ্যাকশনে যাবে না। কিন্তু অক্টোবরের শেষ প্রান্তে এসে সে হিসাব উল্টে যায়।
উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের নেতাদের ঈদ উদযাপন নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘রাজনীতিবিদরা এলাকায়, জমছে ঈদ রাজনীতি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের মাথায় উপজেলা নির্বাচন হওয়ায় সারাদেশে বইছে নির্বাচনী আমেজ।
নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থনকারী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা ছুটে গেছেন এলাকায়।
অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির নেতাকর্মীদের হতাশা কাটিয়ে চাঙ্গা করতে এলাকায় গেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী রাজনীতির স্থবিরতা কিছুটা কাটতে শুরু করেছে।
রাজনৈতিক মাঠের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এলাকামুখী হওয়ায় সারাদেশে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঈদ রাজনীতি।
সংসদ নির্বাচনের পর গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যেই এবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন নেতারা। নির্বাচনি এলাকার ‘প্রভাব-প্রতিপত্তি’ ধরে রাখতে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে নামাটাই ক্ষমতাসীন নেতাদের লক্ষ্য।
দলের সিংহভাগ নেতাই ঈদের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।-বিবিসি
এবিসিবি/এমআই