‘খাদ্য সংকটের দায় পশ্চিমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা রাশিয়ার’

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২৬ মে) পশ্চিমাদেরকে চাপ দিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের জন্য নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে মস্কো। সংঘাতের কারণে ইউক্রেন লক্ষ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানি করতে না পারায় খাদ্য সংকট আরও প্রবল হয়ে উঠেছে।
ব্রিটেন তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ করেছে যে, রাশিয়া “বিশ্বকে জিম্মি করতে চেষ্টা করছে”। তারা জোর দিয়ে বলে যে, নিষেধাজ্ঞায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক আক্রমণের “স্পষ্ট বর্বরতা, দুঃখজনক নিষ্ঠুরতা এবং অরাজকতা” বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানান।
ইতালীর প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন যে, “পশ্চিমাদের আরোপিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে, খাদ্যশস্য ও সার রফতানির মাধ্যমে খাদ্য সংকটের উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে মস্কো প্রস্তুত রয়েছে”। ফোনালাপটির আলোচনা বিষয়ে ক্রেমলিন প্রকাশিত তথ্য থেকে এমনটি জানা যায়।
ইউক্রেন গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর তেলের বৃহত্তম রফতানীকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু, যুদ্ধ এবং বন্দরগুলোকে রাশিয়া অবরোধ করে রাখার কারণে, বেশিরভাগ রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগ বন্দরেই এখন ব্যাপকভাবে মাইন পেতে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, রাশিয়াও খাদ্যশস্যের বড় রফতানিকারকদের একটি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বলেন যে, “পশ্চিমাদেরকে এই অবৈধ সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করতে হবে, যেগুলো জাহাজ ভাড়া করা এবং খাদ্যশস্য রফতানিতে বাধা দিচ্ছে।” তার মন্তব্য থেকে মনে হয়েছে যে, তিনি রাশিয়ার নিজেদের পণ্য রফতানিতে জটিলতার কথা বলে, সেটিকে ইউক্রেনের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে দেওয়া তাদের অবরোধের সাথে মিলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
তবে, পশ্চিমা কর্মকর্তারা এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত সপ্তাহে উল্লেখ করেন যে, খাদ্য, সার এবং বীজ যুক্তরাষ্ট্র সহ আরও অনেকের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর আওতায় পড়ে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিত করতে কাজ করছে যাতে, অন্যান্য দেশগুলোর এটা জানা থাকে যে, এই পণ্যগুলোর সরবরাহ ব্যাহত হবার কথা নয়। (ভয়েস অব আমেরিকা)
এবিসিবি/এমআই