Type to search

Lead Story সম্পাদকীয় ও মতামত

ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে

সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

 

রাজধানী ওয়াশিংটনে বুধবারের নজিরবিহীন সহিংসতার পর সারা দেশ যখন বিচলিত ও স্তম্ভিত হয়ে আছে তখন গুরুতর কিছু প্রশ্ন উঠছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের একেবারে কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ভঙ্গের এতো বড় ঘটনা কীভাবে ঘটলো।

অনেকের কাছে এখনও বোধগম্য নয় যে ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক কেমন করে দেশটির ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এরকম একটি ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হলো – যখন নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে প্রত্যয়ন করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন।

সহিংসতার যেসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে – সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলের ভেতরে ঢুকে সেখানে ঘুরে ঘুরে কতোটা তাণ্ডব চালাতে সক্ষম হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের দেখা গেছে তারা ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে, ছবি তুলছে, এমনকি অনেকে তাদের এই তাণ্ডবলীলা সোশাল মিডিয়াতেও সরাসরি সম্প্রচার করেছে। অনেকে ভবনের ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে – যেগুলোকে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

টেলিভিশনে এবং অনলাইন মিডিয়াতে এই আক্রমণের খবর সারা বিশ্বে প্রচার হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই সেখানে মোতায়েন থাকা ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ভবনটির নিরাপত্তার জন্যে সেখানে প্রায় ২০০০ সদস্যের একটি বাহিনী ক্যাপিটল পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।

প্রশ্ন উঠেছে: এই বাহিনীর নিরাপত্তা ভেদ করে ট্রাম্পের সমর্থকরা কীভাবে ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হলো এবং আক্রমণের সময় তারা সেটা প্রতিহত করার জন্য কতোটা চেষ্টা করেছিল।

এই আক্রমণের সময় কয়েকজন আইন প্রণেতাকে দরজার পেছনে লুকাতে এবং মেঝেতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্যাসমাস্ক পরিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়

পুরো ভবন ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে দাঙ্গাবাজদের সরিয়ে জায়গাটিকে পুনরায় নিরাপদ ঘোষণা করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল।

কিন্তু স্পর্শকাতর এরকম একটি ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এতো বড় একটি ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত মাত্র গুটিকয়েক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একজন বিক্ষোভকারী ভেতরে লাফিয়ে পড়ছেন।
একজন বিক্ষোভকারী ভেতরে লাফিয়ে পড়ছেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ

নজিরবিহীন এরকম একটি ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলার কোন প্রস্তুতি তাদের ছিল না।

সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প সমর্থকদের উন্মত্তার মধ্যে পুলিশের সদস্যরা এখানে সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে অস্ত্র এবং রাসায়নিক স্প্রে বহন করতেও দেখা গেছে।

অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে এক জায়গায় পুলিশ তাদের তৈরি করা প্রতিবন্ধকতা খুলে দিচ্ছে এবং এর পর ট্রাম্পের সমর্থকরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করার গেটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই সহিংসতার সময় দেখা গেছে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার বদলে পুলিশ তাদেরকে ধরে ও পথ দেখিয়ে ভবনের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি তারা যাতে ক্যাপিটল হিলের সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে যেতে পারে সেজন্য সাহায্য করতেও দেখা গেছে।

কোন কোন পুলিশ সদস্যকে ভবনের গেটের দরজা টেনে ধরে রাখতে দেখা গেছে যাতে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে বের হয়ে যেতে পারে।

ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের ভেতরে পুলিশের একজন কর্মকর্তা এক ব্যক্তির সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য পোজ দিয়ে দাঁড়িয়েছেন।

প্রাউড বয়েজ নামের একটি চরমপন্থি গ্রুপের সদস্য নিক ওকস তার এরকম একটি সেলফি টুইটারে পোস্ট করেছেন। পরে তিনি সিএনএনকে বলেছেন: “সেখানে হাজার হাজার লোক ছিল। পরিস্থিতির ওপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমাকে কখনও থামানো হয়নি এবং জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।”

বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি পুলিশ। পাশেই আব্রাহাম লিংকনের ভাস্কর্য।
বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি পুলিশ। পাশেই আব্রাহাম লিংকনের ভাস্কর্য।

ভবনের ভেতরে যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের একজনের ছবিতে দেখা গেছে তার মুখে আত্মতৃপ্তির হাসি, তার পা স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির টেবিলের ওপর তোলা। পরে ভবনের ভেতর থেকে বের হয়ে এসে তিনি একটি চিঠি দেখিয়েছেন যা স্পিকারের অফিস থেকে চুরি করে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের সময় যে কনফেডারেট পতাকা ব্যবহার করা হয়েছিল দাঙ্গাকারীদেরকেও সেরকম একটি পতাকা বহন করতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র-তাত্ত্বিক বলে সুপরিচিত এক ব্যক্তিকেও দেখা গেছে মাথায় শিং লাগিয়ে, মুখে রঙ মাখিয়ে সেনেটের একটি চেয়ারের পাশে পোজ দিতে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার কিছুক্ষণ আগে এই চেয়ারটিতে বসে ছিলেন।

 

ভাইরাল হওয়া এরকম একটি ছবিতে ডেস্কের ওপর পা তুলে রিচার্ড বারনেটকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া এরকম একটি ছবিতে ডেস্কের ওপর পা তুলে রিচার্ড বারনেটকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এখন এই সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আহবান জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিনিধি পরিষদের একজন সদস্য ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক ভাল ডেমিংস, যিনি একসময় পুলিশের প্রধান ছিলেন, তিনি বলেছেন, “এটা অবশ্যই বেদনাদায়ক” যে ক্যাপিটল পুলিশ প্রস্তুত ছিল না, তাদের সংখ্যাও ছিল কম এবং এবিষয়ে তাদের পরিষ্কার কোন পরিকল্পনাও ছিল না।

এছাড়াও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসবে কীনা, আসলে কখন আসবে – এসব বিষয় নিয়েও সংশয় ও বিভ্রান্তি ছিল।

Skip Twitter post, 1

End of Twitter post, 1

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছিল ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প গড়িমসি করলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এই বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিতে পারেন।

কিন্তু গত বছর কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবীতে সারা দেশে যখন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল – সেসময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন।

এর পর কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তা বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলছেন, সবশেষ ঘটনা থেকে এটা বোঝা যায় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও কীভাবে রাজনীতি হয়েছে।

পুলিশ অবস্থান নিচ্ছে ক্যাপিটল হিল ভবনের ভেতরে।

জনতার বিক্ষোভের সময় কীভাবে তাদেরকে সামাল দিতে হয় এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লিফোর্ড স্টট, ব্রিটিশ সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন তিনি, বলেছেন বুধবার ওয়াশিংটনে যা হয়েছে ” সে বিষয়ে পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে বড় ধরনের ও বিব্রতকর প্রশ্ন উঠবে।”

সিয়াটলে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন কাজ করছেন প্রফেসর স্টট।

তিনি বলছেন, রাজধানীতে পুলিশের কাজের জটিল কাঠামোর কথা বিবেচনা করলেও বলা যায় যে ট্রাম্পের সমর্থকদের এধরনের সহিংসতার ব্যাপারে তাদের কোন প্রস্তুতি ছিল না।

“ক্যাপিটলে যে এরকম কিছু ঘটতে পারে সেবিষয়ে তাদের কাছে তথ্য ছিল। এটা আগে থেকে অনুমান করতে না পারার কারণে এবিষয়ে তাদের যে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না সেটা এক ধরনের ব্যর্থতা,” বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেছেন, “এটা শুধু পুলিশের ভূমিকার জটিলতার বিষয় নয়, কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেবিষয়ে পর্যালোচনারও ঘাটতি রয়েছে। পর্যালোচনা করা হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেত।”

ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় আহত একজন পুলিশ অফিসার শুক্রবার মারা গেছেন। সহিংসতায় আরো চারজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর প্রধানসহ পুলিশের আরো দুজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার বাহিনী ও সহকর্মীরা “সাহসিকতার সঙ্গে” হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে মোকাবেলা করেছে।

বাহিনীর প্রধান স্টিভ সান্ড বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এরকম সহিংস হামলার ঘটনা অসম্ভব একটি বিষয় এবং আমার ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমি কখনো এরকম ঘটতে দেখিনি।”

এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কী ধরনের পরিকল্পনা ছিল তারা এখন সেসবও খতিয়ে দেখছেন।

সহিংসতার ব্যাপারে আগে থেকে কী জানা ছিল

নির্বাচনের ফল কংগ্রেসে সত্যায়িত করার সময় ট্রাম্পের সমর্থকদের এই সমাবেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ফলাফলের স্বীকৃতিকে আটকে দেওয়া।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত। নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দিনের পর দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার কয়েকজন রিপাবলিকান মিত্রের দেওয়া বক্তব্যের পর এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রফেসর স্টট বলেছেন, প্রকাশ্যে অপরাধ করার সময় দাঙ্গাবাজদেরকে যে ধরনের আনন্দ করতে দেখা গেছে সেটাও বেশ মজার বিষয়।

“তাদের একটা পরিষ্কার উদ্দেশ্য ছিল। বিক্ষোভকারীরা ধরে নিয়েছিল যে তারা যা করছে সেটা বৈধ। তাদের প্রেসিডেন্ট, কমান্ডার ইন-চিফ, এই প্রেসক্রিপশনে অনুমোদন দিয়েছেন যে তোমরা যাও এবং এরকম করো,” বলেন তিনি।

হামলার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক চরমপন্থিদের ব্যবহৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজর রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে অতি-দক্ষিণপন্থী গ্রুপগুলো ক্যাপিটল হিলসহ আইন প্রণেতাদের ওপর সহিংসতার উস্কানি দিয়ে হুমকি দিয়েছে।

ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু কিছু সমর্থকের পরনে ছিল “”MAGA: CIVIL WAR” এধরনের স্লোগান লেখা পোশাক। সেখানে ৬ই জানুয়ারি ২০২১ এই তারিখও লেখা ছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান ছিল এই মাগা যার অর্থ মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলুন।

বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলছেন, কংগ্রেসের সদস্যরা যদি বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতো, কিম্বা তাদেরকে যদি জিম্মি করা হতো – তাহলে আরো মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারতো।

তিনি বলেন, যেসব ছবি দেখা যাচ্ছে তার ফলে ২০শে জানুয়ারি জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের দিনের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় সর্বোচ্চ বিচারের আহবান জানিয়েছেন।

বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের অনেককে ছবিতে ও ভিডিওতে যে ধরনের নির্লজ্জ আচরণ করতে দেখা গেছে, তাতে তাদের বিচারের জন্য তথ্য-প্রমাণের অভাব হবে না।

ফেসবুক এধরনের বহু ভিডিও মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে এসব দেখে কেউ উৎসাহিত না হয়। তবে অনেকেই লোকজনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এসব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখার জন্য। যদিও ক্যাপিটল হিলের ভেতরে যাদের দেখা গেছে তাদের অনেকেই অতি-দক্ষিণপন্থী গ্রুপের পরিচিত ব্যক্তিত্ব।

ক্যাপিটল পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা হামলাকারীদের নানাভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক একজন আইন কর্মকর্তা চ্যানিং ফিলিপ্স বলেছেন, সরকারি কৌসুলিরা তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও ফেডারেল পর্যায়ে মামলা করতে পারেন। তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করা থেকে শুরু করে হামলার অভিযোগ আনা যেতে পারে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হতে পারে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে হতে পারে ২০ বছরের কারাদণ্ড।

ভিডিওর ক্যাপশান,আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলা

 

 

Translate »