‘আর কোন রোজীনা যেন এমন প্রতিহিংসার শিকার না হয়’

স্বপ্না গুলশান:
মা মেয়ের গভীর মায়া ভালেবাসার বন্ধন । জেল থেকে জামিন পাওয়ার পরে সাংবাদিক রোজীনা ইসলামের একমাত্র মেয়ে আলভিনা, হাসপাতালে চিকিৎসারত মায়ের কপালে কোমল হাতে আদরের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। মা মেয়ের এমন মমতার ছবিটি দেখে যেমন ভাল লাগল তেমনি খারাপ ও লাগলো।
ছোট্ট আলভিনার তো এমন দুর্বিসহ সময়ের মধ্য দিয়ে যাবার কথা ছিলনা । মা অনুসন্ধানী সাংবাদিক বলেই হয়তো আজ আলভিনা কে এত কষ্ট আর যন্ত্রনাদায়ক সময় পার করতে হয়েছে বা হচ্ছে। ছোট্ট আলভিনা কখনোই তার মা ছাডা ঘুমাতো না।কখন অফিসের কাজ ছেড়ে মা বাসায় ফিরবে সে অপেক্ষায় থাকতো আলভিনা । হঠাৎ মা একদিন কাজ শেষে বাসায় ফিরলনা। আলভিনা ও রাতে ঘুমায়না। অপেক্ষা আর শেষ হয়না- কখন বাসায় ফিরবে মা।
জানিনা , আলভিনাকে কিভাবে ওর বাবা এবং পরিবারের অন্যান্যরা মায়ের বাডী না ফেরার বিষয়ে কি উত্তর দিয়েছিল অথবা ছোট্ট আলভিনার অনুভুতিই বা কেমন হয়েছিল যথন সে জেল থেকে জামিন পাওয়া মাকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখেছিল । সাংবাদিক রোজীনা ইসলামের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় আর অনাকাংখিত ঘটনার সবকিছুই আমি এবং আমার একমাত্র মেয়ে সারাহ কে দিয়ে কল্পনা করে শিউরে উঠেছিলাম। যাহোক, আশা করবো- ভবিষ্যতে আর কোন মা এবং সন্তানকে যেন প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সাংবাদিক রোজীনা ইসলাম ও তার অতি আদরের কন্যা ছোট্ট আলভিনার মতো এত ভয়বাহ যন্ত্রনাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয় ।
স্বপ্না গুলশান অষ্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত এবিসিবি নিউজের সম্পাদক