Type to search

অপরাধ মিডিয়া

রায়েরবাজারে বাসা থেকে নারী সাংবাদিকের হাঁটুগেড়ে ঝুলে থাকা লাশ উদ্ধার

রাজধানীর রায়েরবাজারের একটি বাসা থেকে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সহ-সম্পাদক সোহানা তুলির (৩৮) হাঁটুগেড়ে ঝুলে থাকা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রায়েরবাজারে ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তদন্তের আগে এ বিষয়ে কিছু বলেনি পুলিশ।

হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় নন্দিতা নামের এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন সোহানা। বিকেলে নন্দিতা বাসায় এসে দরজা নক করে তুলির সাড়া পাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে কেয়ারটেকারসহ আশপাশের বাসিন্দারা এসে দরজা ভেঙে দেখেন নিজ কক্ষের ভেতর তুলি ঝুলে আছেন।

ওসি বলেন, এরপর হাজারীবাগ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন সোহানা তুলি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।

তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।

তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। সোহানা তুলি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। সাব-এডিটর কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।

সোহানার কয়েক বছর আগে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। ভাড়া বাসায় ছোট ভাইসহ অন্য আত্মীয়রা মাঝে মাঝে থাকলেও তিনি বেশির ভাগ সময় একাই থাকতেন।

পরিবারের দাবি, হয়ত কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে। কারণ তুলির লাশ হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিল।

Translate »