১২ বছরের বেশি বয়সীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

কীভাবে ভাইরাস সংক্রমণ করে শিশুরা সে সম্পর্কে খুব কমই জানা রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো কিশোর-কিশোরীরাও একইরকমভাবে কীভাবে অন্যকে সংক্রামিত করতে পারে সংস্থাটি তার প্রমাণও তুলে ধরেছে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বয়সীদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের। তাতে বলা হয়েছে-

১.  প্রাপ্ত বয়স্কদের মতোই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের উচিত বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা। বিশেষ করে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখতে পারলে বা সংক্রমিত বিস্তার এলাকায় গেলে অবশ্যই তাদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

২. বড়দের তদারকি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার জন্য। তারা মাস্ক পরে স্বস্তিবোধ করতে পারে। কিন্তু যেসব স্থানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেখানে বড়দের দায়িত্ব হবে ছোটদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্য করা।

৩. মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নেই ৫ বছরের কম বয়সীদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্যর ওই নির্দেশিকায় স্কুলে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের মাস্ক পরতে হবে কীনা সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার শ্রেণিকক্ষের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠতে পারে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য মতে, এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।