‘সরকারই শুধু খবর নিয়ন্ত্রণ করে না’

আনিস আলমগীর :
আজ যে সব পত্রিকায়, এবং গতকাল পর্যন্ত যেসব অনলাইনে বা টেলিভিশনে বসুন্ধরার এমডিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত-প্রচারিত হয়নি, আপনি নিশ্চিত ধরে নেন, তারা মিডিয়ার মালিক হয়েছেন আপনাকে সংবাদ সরবরাহ করার জন্য নয়–নিজেদের অবৈধ ব্যবসা, নিজেদের এবং পরিবারের অপরাধ, অবৈধ কর্মকান্ড ঢাকার জন্য। অন্যের মিডিয়া নামের কুত্তাটা তাকে কামড়ে দিলে, পাল্টা কামড় দেওয়ার জন্য।
আজ যেসব দৈনিকে এই সংবাদ নাই তার সম্পাদক এবং মালিক নিজেই সম্পাদক হয়ে থাকলে তার হয়ে যে সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেন তিনি; যেইসব অনলাইনে গতকাল পর্যন্ত এই নিউজ ছিল না তার সম্পাদক এবং যেসব টেলিভিশনে গতকাল থেকে এই সংবাদ নাই তার সংবাদ বিভাগের প্রধান প্রকৃত সাংবাদিক নয়। তারা জাস্ট চাকরি করছেন, পা-চাটা মেরুদণ্ডহীন প্রাণী হিসেবে। এদের মূল কাজ মালিকের অপরাধ, অবৈধ কর্মকান্ড ঢাকতে দৌঁড়ানো এবং প্রয়োজনে তার মনোরঞ্জনে ‘সাপ্লাই’ দেওয়া।
মোসারাত জাহান মুনিয়াও তেমনি এক সম্পাদক কর্তৃক মালিককে ‘সাপ্লাই’ দেওয়া কেস। মেয়েটিকে আনভীরের সঙ্গে কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল সেটি খুঁজলে বের হয়ে আসবে তাও।
কমেন্টে লিখে যান কোন কোন পত্রিকায় আজ সংবাদটি নেই, অনলাইন-টেলিভিশনে এই সংবাদটি গতকাল পর্যন্ত দেখেননি — যাতে গণ ধিক্কার জানাতে সেই সব প্রতিষ্ঠানের মালিক, সম্পাদক এবং সংবাদ প্রধানকে জাতি চিহ্নিত করতে পারে। সেই সঙ্গে তার বিপরীতে যারা যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে সম্মান দিতে পারে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে হাউকাউ না করে সবার আগে পত্রিকা-মিডিয়া নামের এই সব আবর্জনা এবং তার পালিত কুত্তাদের একযোগে বর্জন করতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এদের হাতে নিশ্চিত হবে না। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা সরকারেরও কোনও প্রকৃত কাজে আসে না।
আনিস আলমগীর এর ফেসবুক থেকে নেয়া