প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা নিয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ব্যাখ্যা
সম্প্রতি কতিপয় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নজরে এসেছে অত্র হাইকমিশনের। এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন রকমের তথ্যগত বিচ্যুতি রয়েছে, যা মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। দুঃখজনক ভাবে এই প্রতিবেদনটি প্রচার করা হয়েছে ঢাকাস্থ কিছু কিছু মিডিয়াতেও।
লকডাউনকালিন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসীদের মধ্যে সহজে পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাইকমিশন বিগত এপ্রিল ২০২১ থেকে ৩৬টি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ করে আসছে। গত ৬/৭ মাসে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে রেকর্ড সংখ্যক ২ লক্ষের অধিক পাসপোর্ট প্রবাসীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে, যার একটি বৃহৎ অংশ ডাকযোগে বিতরণ করা হয়েছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারছেন প্রবাসীরা। এপয়েন্টমেন্টের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পছন্দ মোতাবেক নিকটস্থ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে হাতে পাচ্ছেন পাসপোর্ট। এতে একদিকে যেমন প্রবাসীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে কোভিড-১৯ ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছেন এবং মালয়েশিয়া ব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চলমান লকডাউনের মধ্যেও বাংলাদেশ পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়া চালু রাখা সম্ভব হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আরও জানানো যাচ্ছে যে, হাইকমিশনের ডাকযোগে বিস্তৃতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে পাসপোর্ট সেবার। ফলে হাইকমিশনের হাতে থাকা প্রায় সকল পাসপোর্ট ইতোমধ্যে বিতরণ করা সম্পন্ন হয়েছে, তবে ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভার জটিলতার কারণে বেশ কিছুসংখ্যক পাসপোর্ট এখনও পাইপলাইনে আছে। এ জটিলতা ইতোমধ্যে দূর হয়েছে বলে ঢাকা থেকে মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, খুব সহসাই ঢাকা থেকে পুনরায় হাই কমিশনে পাসপোর্ট আসা শুরু হবে এবং বাকি পাসপোর্টগুলোও হাইকমিশনে আসা মাত্রই যথাযথ প্রক্রিয়ায় অতি দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়া সরকার অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত রেক্যালিব্রেশন কর্মসূচীর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে ।
এমতাবস্থায়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর এই দূর্যোগকালী সময়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের ভাই-বোনদের আতংকিত না হওয়ার জন্য এবং সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে এমন বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। কারণ একমাত্র ঐক্যবদ্ধভাবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা এখন সময়ের দাবি বলে বাংলাদেশ হাই কমিশন বিশ্বাস করে।