ভারতে রফতানি হলো ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল ভারত
ভারত সরকার পেঁয়াজ না দিলেও শারদীয় দুর্গোৎসবের আগেই গত তিনদিনে ১৯৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি হয়েছে। ভারত গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের দিনই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে প্রতিশ্রুত ১ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গত তিনদিনে ১৯৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ৯৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন ইলিশের চালান কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। এর আগে গত সোমবার ৪১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার ৬৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ রফতানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৮০০ টাকা। এই দরে রপ্তানি করা প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম ছিল।
মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার ৯জন রপ্তানিকারককে মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে ভারতে। প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট এক লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ রপ্তানি করা হবে ভারতে।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৭ বছর।দুদেশের সম্পর্কের বরফ গলে। বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫০০ টন ইলিশ পাঠিয়েছিল। এক বছর পর আবারোও বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে পশ্চিম বাংলায় যাচ্ছে ১ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ।