জামানত ছাড়াই ঋণ দিচ্ছে কর্মসংস্থান ব্যাংক
জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা ঋণ। তবে এই ঋণের জন্য সুদ গুনতে হবে। আর সেই সুদের পরিমাণ হচ্ছে ৮ শতাংশ। তবে কিস্তি খেলাপি হলে সুদ হয়ে যাবে ১০ শতাংশ। দেশের বেকার যুব ও যুব মহিলাদের জন্যই এই ঋণ। ঋণ পরিশোধের সময় হচ্ছে পাঁচ বছর।
যেকোনো যুবকই এই ঋণ পাবেন তাও নয়। এই ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট একটি নীতিমালা রয়েছে। আর সেই নীতিমালা হচ্ছে, যারা সরকারি কিংবা আধা সরকারি ও স্বায়ত্তপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারাই হবেন ঋণ গ্রহীতা। এর পাশাপাশি ঋণ পাওয়ার জন্য বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় বয়স ৪০ বছর হতে পারে। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পাস। আগে ছিল অষ্টম শ্রেণি পাস। ঋণের জন্য জামিনদার লাগবে। এই জামিনদার হতে পারবেন আবেদনকারীর মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী কিংবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি ।
এখন কৌতূহল জাগতে পারে কোথা থেকে এই ঋণ পাওয়া যাবে। মূলত দেশের বেকার ও অর্ধ বেকারদেরও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক অনেকদিন ধরে কাজ করছে। এই ব্যাংকের আসল কাজই হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এই কর্মসংস্থান ব্যাংক বেকারদের ঋণ কর্মসূচি চালু করেছে।
তবে এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ নামে এক নতুন কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দিয়েছে। জানা গেছে, কর্মসংস্থান ব্যাংক চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৬৮ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করেছে।
আর ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা হচ্ছে ৩৭ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগ ঋণ পেয়েছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। কোথায় প্রশিক্ষণ নিলে এই ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হবে না। এই প্রশ্নের জবাবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মূলত যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বিসিক, বিডা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে অনায়াসে ঋণ পাওয়া যাবে। আর ঋণখেলাপিরা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। একই গ্রাহক বা গ্রুপ একাধিক প্রকল্পে ঋণ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
