Type to search

অর্থ ও বাণিজ্য বাংলাদেশ

‘বড় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা সংকট কাটছে না শিগগির’

সমকালের প্রধান শিরোনাম। বলা হচ্ছে গ্যাস সংকটের জাঁতাকলে পড়ে বন্ধ হয়ে আছে অনেক শিল্পকারখানার চাকা। এ কারণে উৎপাদন শিকেয় উঠেছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য সরবরাহে নেমে এসেছে বিপর্যয়।

গ্যাস সংকটে শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বস্ত্র উৎপাদন কমেছে ৬৫ শতাংশ।

নিট খাতের উৎপাদন কমেছে ৪০ শতাংশ। ফলে প্রধান পণ্য পোশাক রপ্তানি কমে গেছে অনেকটাই। দেশে অভ্যন্তরীণ পোশাক বাজারের চাহিদামতো সুতা ও কাপড়ের জোগান কমে গেছে। ফলে এসব পণ্যও আমদানি করতে হতে পারে; যা রিজার্ভে বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে।

সরকার বলছে, গ্যাসের এই সংকট সাময়িক। তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগির গ্যাস সংকট দূর হবে না। তারা অভিযোগ করেন, দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানিতেই সরকারের নজর বেশি। ফলে সম্ভাবনা থাকার পরও দীর্ঘদিন গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে।

এদিকে উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানিতে বিপুল পরিমাণ যে ডলারের প্রয়োজন তাও সরকারের হাতে নেই। ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

গ্যাস সংকট: জ্বালানির পাশাপাশি বিদ্যুতেও দুর্ভোগ – দৈনিক সংবাদের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে চলমান গ্যাস সংকটের প্রভাব বিদ্যুৎ উৎপাদনেও পড়েছে।

শীতে চাহিদা কম থাকার পরও শনিবার (২০ জানুয়ারি) সারাদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি লোডশেডিং হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবাসিকে রান্না, সিএনজি ও শিল্প-কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে এই সংকট তীব্র হয়। এই সময় গ্যাসের চেয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হয়েছে।

As local gas runs out, $1.4b pipeline planned to boost imported LNG supply – চলমান গ্যাস সংকটে সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

এতে বলা হয় স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন স্বল্পতা মাথায় রেখে বাংলাদেশ আরও এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করছে, এজন্য ১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয়ে একটা নতুন গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার যাতে করে জাতীয় গ্রিডে এই আমদানিকৃত গ্যাস সংযোগ দেয়া যায়। ২৯৫ কিমি দীর্ঘ প্রস্তাবিত এই মাতারবাড়ি-বাখরাবাদ পাইপলাইনের কাজ ২০২৯ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এক-চতুর্থাংশ কমেছে – বণিক বার্তার অন্যতম প্রধান শিরোনাম এটি।

বলা হয় দেশের প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। গত ছয় মাসে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ থেকে রেমিট্যান্স কমেছে ২৫ শতাংশের বেশি। যদিও গত তিন বছরেই ১৫ লাখ ২১ হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি অভিবাসী হয়েছেন। সৌদি আরবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বিপর্যয় হলেও এ সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে।

গত ছয় মাসে মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণের দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে আরব আমিরাতের নাম।

তারল্যের চাপে কমেছে বেসরকারি ঋণ – যুগান্তরের শিরোনাম। এতে বলা হয় ব্যাংক খাতে তারল্যের চাপ বেড়ে গেছে। এই চাপের কারণে ব্যাংকগুলোতে জমা অতিরিক্ত টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তারল্য কমায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ খাতে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে একদিকে বেসরকারি খাতের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে কমে গেছে নতুন কর্মসংস্থানের গতি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। সেখানে আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। নভেম্বর পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

Govt monitoring falls flat as rice prices soar – অর্থাৎ সরকারের নজরদারির অভাবে বেড়েই চলেছে চালের দাম। নিউ এজের শিরোনাম এটি।

বিশেষজ্ঞ ও বাজার বিশ্লেষকরা যথেষ্ট উৎপাদন ও সরবরাহ থাকার পরও কিছু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও সরকারের নজরদারির অভাবকে চালের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন। তারা বলছেন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে নতুন সরকারের প্রতিক্রিয়া কী হয় সেটার পরীক্ষা করে দেখতেই চালের দাম বাড়িয়েছেন।-বাসস

এবিসিবি/এমআই

Translate »