সিলেটে প্রতারণার ৩ মামলায় রিজেন্ট সাহেদ ফের আটক
জেলা প্রতিনিধিঃ সিলেটে চেক ডিজঅনারের টি মামলায় বহুল আলোচিত সাহেদ করিমকে আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আটক দেখিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একটি প্রতারণার মামলায় তদন্ত করে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি আবদুস সাত্তার বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে ৪টি মামলা দায়ের করেছিলেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। রিজেন্ট সাহেদের কাছে তার ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। সেই টাকার বদলে সাহেদ বিশ লাখ ৫০ হাজার টাকার তিনটি চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার বাদী টাকা পাননি। পরে তিনি চেক ডিজওনার করে মামলা করেন।
এছাড়াও অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দশ লক্ষ টাকার একটি ভুয়া চেক দিয়ে পাথর কিনেন সাহেদ করিম। এজন্য আদালতে আরেকটি জালিয়াতি, প্রতারণা ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জৈন্তাপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী শামসুর ইসলাম সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করেন গত ১১ ফেব্রুয়ারি। এতে ভুয়া একটি চেকে (চেক নং- ৯০২৬৪৬৩০) দশ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে প্রদানের অভিযোগ আনা হয় সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে।
এর আগে গত বছরের ৪ মার্চ সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে বিশ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল। সাহেদের দেয়া দশ লক্ষ টাকা করে ২ টি চেকে ২০ লক্ষ টাকা ও আরও একটি চেকে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় এ ৩ মামলা করেন তিনি।
গত ৮ নভেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের ওই তিন মামলার শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাহেদকে এই মামলায় আটক দেখানোর জন্য আবেদন করলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সাহেদকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাত সহ প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র্যাব। এর আগে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানে ভুয়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।