জেলা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা সদরের ভোমরায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবক সদরের ভোমরার লহ্মাদাড়ীর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মাসুদ হোসেন।
গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) নিজ বাড়ি হতে লম্পট মাসুদকে আটক করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভোমরা লহ্মীদাড়ী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কন্যা এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কয়েক মাস পূর্বে তার চাচা সাইদুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ২৭ মে ২০১৯ এবং ০৩ ডিসেম্বর ১৯ তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের লম্পট মাসুদ তার কন্যাকে ধর্ষণ করে। সে সময় কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ওই লম্পট মাসুদ। পরে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা জাহিদুল ইসলামের ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে সময় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু ছবি দিলেও পরবর্তীতে আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ওই ধর্ষক না দিলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে তার বড় ভাই সাব্বিরের কাছে অভিযোগ দিলে সেও চাঁদা টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই ধর্ষক মাসুদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন এ্যাপসে ছড়িয়ে দিতে থাকে।
উপায়ন্তর হয়ে ভুক্তভোগী কন্যার পিতা বাদী হয়ে গত রবিবার (২৬ জুলাই) ২০২০ সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৯০। উক্ত মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত লম্পট মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।
এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ওই লম্পট মাসুদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।