সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ১৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার
জেলা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরায় উপকূলবর্তী শ্যামনগরে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৬৯টি সাইক্লেন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নদী এখন পর্যন্ত উত্তাল রূপ ধারণ করেনি। নওয়াবেঁকী, পাখিমারা, নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশনসহ সকল টহলফাঁড়িতে অবস্থানরত বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান শনিবার সকালের জোয়ারের পানি তার অফিসে যাওয়ার একমাত্র পায়ে চলা রাস্তার উপরে উঠার উপক্রম হয়েছিল।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৭/৮টি পয়েন্টের প্রায় ২ কিলোমটিার ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম জানান, উপজেলার ১৬৯ সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় তৈরি থাকার জন্য বলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ নগদ অর্থ মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এবিসিবি/এমআই