Type to search

সারাদেশ

সাতক্ষীরা কলারোয়ার পৌর মেয়র হলেন মনিরুজ্জামান বুলবুল

মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল বিপুুল ভোটে মেয়র হিসেবে জয়ী হয়েছে।
তিনি ১৩ হাজার ৪৬৯টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের নার্গিস সুলতানা পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৮ ভোট। আর অপর প্রার্থী বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন ৫০৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর নির্বাচনের আগেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরে দাড়ান ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু পেয়েছেন ৮৩ ভোট ও সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম পেয়েছেন মাত্র ৬ ভোট।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে বিপুল সংখ্যক ভোটারদের উপস্থিতিতে কলারোয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন অভিযোগে সকাল ১০টায় মেয়র প্রার্থী বিএনপি’র ধানের শীষের শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন ও বেলা ১১টায় স্বতন্ত্র জগ প্রতীকের নার্গিস সুলতানা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন ভোট বর্জনের। একই সময় ২নং ওয়ার্ডের তিন জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩নং ওয়ার্ডের তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ও ২নং ওয়ার্ডের পাঞ্জাবি প্রতীকের আসাদুজ্জামান তুহিন বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয় কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন।
পৌর এলাকার নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিরতীহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মোট ২১ হাজার ২৮০জন ভোটার ছিলো। মোট শতকরা ৭৬ ভাগ ভোট পড়েছে। বৈধ ভোট ১৫৭০১ আর বাতিল হয়েছে ৩৮০টি ভোট। সকাল থেকেই পৌর এলাকার গোপিনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তুলশীডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রসহ প্রায় সকল কেন্দ্রেই নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা হয়। আর সন্ধ্যায় ৭নং ওয়ার্ডে ভোট গনণাকে কেন্দ্র করে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
কলারোয়া পৌরসভা জুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে জানান এই নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি বলেন, পৌর এলাকায় ৯জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নয়টি ভ্রাম্যমাণ টিম, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলো।
Translate »