গাজীপুরে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যায় গ্রেপ্তার ১

জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিল থেকে ১ শিশু শ্রমিক কর্তৃক আরেক শিশু শ্রমিককে পায়ুপথে বাতাস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ভোর পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার মাধখলা এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

নিহত শিশু শ্রমিক অপুর বয়স ১৪ বছর। সে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের পলাশ দেওয়ানের ছেলে। সে বাবার সাথে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামে স্থানীয় আব্দুস ছামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। অভিযুক্ত শিশু শ্রমিক রাজু হোসেনের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। সে একই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে।

নিহত শিশুর মা হোসনে আরা জানান, শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয় আমার ছেলে। আজ সকাল ৬টা ছুটি হওয়ার কথা তার। কিন্তু কারখানার অপর শ্রমিক এসে জানায় আমার ছেলের অবস্থা খুবই অসুস্থ্য। সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী দ্রুত কারখানায় ছুটে যান। পরে আমার ছেলেকে কারখানায় না পেয়ে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়। সেখানে আমার ছেলের লাশ পাওয়া যায়।

কারখানার নিরাপত্তাকর্মী মো. মহসিন আলী জানান, শিশুটির পায়ুপথে বাতাস দেওয়ার পর পেট ফুলতে শুরু করে। এরপর অতিরিক্ত ব্যাথা শুরু হলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজুকে আটক করেছে পুলিশ।

কারখানার সিনিয়র অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. জাকারিয়া জানান, শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার জাবেদ পাটোয়ারী জানান, শিশুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার কালিয়াকৈর সার্কেল আজমীর হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর কারখানায় গিয়ে অভিযুক্ত শিশু শ্রমিক রাজুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এবিসিবি/এমআই