সারাদেশে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা, রাঙামাটি, কক্সবাজার ও কুমিল্লায় বৃষ্টির সময়ে হওয়া বজ্রপাতে মোট ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় চার জন, রাঙামাটিতে তিনজন, কক্সবাজারে দুইজন, খাগড়াছড়িতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আগেরদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত গরমে মারা গেছেন আরও পাঁচজন।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে ২ লবণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ২ শ্রমিক লবণ তুলতে মাঠে যান। হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
কুমিল্লার ৪ উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ চার জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতরা হলেন- দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছ (৫৮), কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর সূর্যনগর গ্রামে আতিকুল ইসলাম (৫০), বুড়িচং উপজেলার কৃষক আলম হোসেন ও চান্দিনা উপজেলার কৃষক দৌলতুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর বিভিন্ন সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঝোড়ো বাতাসে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ইয়াছিন আরাফাত (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ইয়াছিন আরাফাত বড়নাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এদিকে রাঙামাটিতে পৃথক পৃথক স্থানে বজ্রপাতে মো. নাজির হোসেন (৫০), বাহারজান বেগম (৬০) ও থুইবালা ত্রিপুরার (৩৭) নামে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়া এলাকায়, বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম বক্ল এলাকায় এবং সাজেকে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
এবিসিবি/এমআই