শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে

জেলা প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারে পদ্মা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনো এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়নি, নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জাজিরা উপজেলার বড় কান্দি ইউনিয়নের খলিফাকান্দি এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে গিয়েছিল পদ্মা নদীতে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যের ভিটায় আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ। ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। এখন ৩ দিনের বৃষ্টিতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। পানি বাড়ার ফলে যেকোনো সময় আবার ভাঙন শুরু হতে পারে। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে আবারও বাপ-দাদার বসতভিটা থেকে স্থানান্তর হওয়ার ঝুঁকিতে অন্তত ৩টি গ্রামের মানুষ।
জাজিরার বড়োকান্দির ইউনিয়নের বাসিন্দা বিল্লাল গাজী জানান, ‘সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি পদ্মা সেতুর নড়িয়া বাঁধ থেকে জিরো পয়েন্টে জরুরি একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক।’
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল জানান, ‘বৃষ্টির পানির কারণে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে লোকালয়ে পানি জমেনি, আবার অন্যদিক দিয়ে বেরও হয়ে যাচ্ছে। নদীভাঙন কবলিত এলাকার জনসাধারণকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় হাজার করে নগদ টাকা, ৩০ কেজি চাল ও ২ বান্ডেল টিন দেওয়া হয়েছে।’
এবিসিবি/এমআই