রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাল এনআইডি ও জন্মসনদ তৈরি চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ তৈরির বেশকিছু সরঞ্জামসহ জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে উখিয়া লাম্বাশিয়া ক্যাম্পের মো. আবদুল্লাহর বসতঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উখিয়া ক্যাম্প-১ এর মো. ইসলামের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৭), মুসা খলিলের ছেলে আবুল খায়ের (২০), হাবিবের ছেলে মো. তালহা (৬০), তার সহোদর মো. হারুন (৩৬) ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়া এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল (৪৫)।

গ্রেপ্তার প্রত্যেকে জালিয়াতি চক্রের সদস্য মন্তব্য করে কামরান হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে একটি জালিয়াতি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল এন আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সনদ, ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহর বসত ঘরে অভিযান চালায় এপিবিএন। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত চারটি ল্যাপটপ, ৮টি স্মার্টফোন, ৪টি পেনড্রাইভ, একটি স্ক্যানার, একটি প্রিন্টার, ১১টি জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই, ৩০টি নকল জন্মসনদ, ২০টি নকল এনআইডি, ২০০ বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডির ফটোকপি, ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক চেক বই ও জমা দান বই, ৫টি সিল, একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন সনদপত্র, ২০টি শাহপুরী বাস্তহারা আদর্শ গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য ফরম, ৩৫টি টাকা জমা দেওয়ার পাস বই উদ্ধার করা হয়।

এপিবিএন-৮ এর কমান্ডিং অফিসার সিহাব কায়সার খান জানান, সাধারণ রোহিঙ্গারা মূলত বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ এবং বিদেশে গমনের জন্য পাসপোর্ট তৈরির লক্ষ্যে উক্ত দালাল চক্রের দ্বারস্থ হয়। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে নকল বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও চক্রের বাকি সদস্যদের নাম স্বীকার করেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে জব্দকৃত মালামালসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এবিসিবি/এমআই