Type to search

Lead Story সারাদেশ

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে চরম দুর্ভোগে ঘরমুখো মানুষ

জেলা প্রতিনিধিঃ ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিগত কয়েক দিন যাত্রীদের চাপ থাকলেও আজ রবিবার সকাল থেকে তা আরও বেড়েছে।

ফেরিরঘাটে যানবাহন ও কয়েক হাজার মোটরসাইকেলের চাপ। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে যে যেভাবে পারছে ঘাটে আসছে। ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুট হয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে বৈরি আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ বন্ধ রাখা হলেও রবিবার সকাল ৬টার দিকে লঞ্চ সচল করে বিআইডব্লিউটিএ। নৌরুটে পারাপার করা হচ্ছে ১০টি ফেরি, ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন।

রবিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার যাত্রী। মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল ১নম্বর ফেরিঘাটে। এই ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। বাকি ২ ঘাট দিয়ে ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এরপরও চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। আজও গাদাগাদি ভিড় লঞ্চঘাটে। লঞ্চঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন থামছে না।

যাত্রীরা বলেন, শনিবার পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় চাপ বেড়েছে বহুগুণ। ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামে যেতেই হবে। শেষ সময়ে যে যেভাবে পারছে ছুটছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল বলেন, নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে পারাপার করা হবে বলে তিনি জানান।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, আজ অনেক বেশি যাত্রীচাপ। সকাল থেকে লঞ্চ সচল রয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

এবিসিবি/এমআই

Translate »