ভোলার লালমোহনে কুকুরের কামড়ে ১৫ জন হাসপাতালে
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার লালমোহনে হঠাৎ বেড়ে গেছে কুকুরের হিংস্রতা। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে আসছেন রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে শনাক্ত হয়ে অন্তত ১৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে শিশু বেশিরভাগই। যাদের বয়স ২ বছর থেকে সাত বছরের মধ্যে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যের বাহিরে কুকুরের কামড়ে শনাক্তের সংখ্যা আরও বেশি। অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয় পর্যায়ে।
এদিকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও টিকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানান, হাসপাতালে আসলে কেবল প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া যায়। তবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও টিকা বাইরে থেকে কিনতে হয়। প্রয়োজনীয় এসব ওষুধ ও ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহের দাবি করেন এসব ভুক্তভোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ভোলায় প্রেরণ করা হয়। কারণ এ হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের কোনো টিকা নেই। তবে হাসপাতালে টিকা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
সাধারণত বয়োজ্যেষ্ঠরা কুকুর দেখলে সচেতন থাকে বা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু শিশু-কিশোররা কুকুরের সাথে খেলা করতে গিয়েই কামড়ের শিকার হয়। তাই শিশু-কিশোরদের কুকুরের সঙ্গে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা উচিত পরিবারের লোকদের। এ জন্য পরিবারের লোকজনকে অধিক সচেতন হতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান উল্যাহ মানিক জানান, কুকুরের প্রজনন মৌসুমে সচেতন থাকা উচিত সবার৷ পাশাপাশি বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে শনাক্ত করে বিষ নিধনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে টিকা কার্যক্রম রয়েছে তা চলমান রাখা উচিত। তা হলে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের শঙ্কা থাকবে না।
এবিসিবি/এমআই