Type to search

সারাদেশ

ভৈরবে নৌকাডুবি: ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো পুলিশ সদস্য ও তার এক সন্তানসহ নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। একই সঙ্গে নৌকাটিকে ধাক্কা দেওয়া বালুবাহী বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আলগীর চর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভৈরব নৌ পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আটক তিন মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম-ঠিকানা এখন বলা যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছে।

এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার ৬টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজন সাঁতরে প্রাণে বাঁচলেও আটজন নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পরই উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। রাতে অন্ধকারের কারণে ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান থেমে যায়।

পরে শনিবার সকাল ৮টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযানে নামে বিআইডব্লিউটিএর ৪ সদস্যের ডুবুরি দলসহ ফায়ার সার্ভিস।

ট্রলারের মাঝি নাহিদ জানান, ইফতারের কিছুক্ষণ আগে আশুগঞ্জ চর থেকে ২১ যাত্রী নিয়ে ভৈরব ঘাটে কাছাকাছি আসতেই পেছন থেকে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন আটজন।

ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, পর্যটকবাহী নৌকাডুবি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা উদ্ধার অভিযানে নামি। পরে নৌ পুলিশের সহায়তায় এক নারীর লাশ এবং ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করি। শনিবার আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল।

এবিসিবি/এমআই

Translate »