দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধে বেনাপোল বন্দরে বিপাকে পাসপোর্ট যাত্রীরা

ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বেনাপোল স্থলবন্দরকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুন কবীর তরফদার বলেন, লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে বন্দরে।
তাছাড়া ট্রাকচালকরা আমদানিপণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছেন। মেডিক্যালসহ বিভিন্ন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াতও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। একে-তো রোগী তার ওপরে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে।
হঠাৎ করে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধে সরকার ১৮টি প্রস্তাবনা জারি করে; কিন্তু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে সরকার ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। এতে গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে পড়ে। তবে দেশের শিল্প কলকারখানা সচল রাখতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, পণ্য পরিবহন লকডাউনে রাখা হয় আওতামুক্ত।
এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে বলে বলেন কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, লকডাউনের মধ্যে এ পথে শর্তসাপেক্ষে ২ দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় কম।
বর্তমানে বিজনেস, মেডিক্যাল ও কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে ট্যুরিস্ট ভিসা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভারত ভ্রমণে দরকার হচ্ছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এছাড়া দরকার ২০২০ সালের ১ জুলাইয়ের পর ইস্যুকৃত ভিসা। ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা বলে তিনি জানান।