Type to search

সারাদেশ

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে কমেছে লঞ্চ ভাড়া

জেলা প্রতিনিধি: পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের লঞ্চগুলোতে ব্যাপক যাত্রী সংকট দেখা দিলেও ধীরে ধীরে এই রুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে।

আগের রূপে ফিরেছে বরিশাল নদীবন্দরও। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তবে যাত্রী বাগাতে ভাড়া কমিয়েছে। লঞ্চ ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসে ভাড়াও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। গত রোববার ও সোমবার রাতে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা মোট ১৪টি লঞ্চেই যাত্রী ছিল।

আগের হিসাব অনুসারে, রোব ও সোমবার যাত্রী চাপ না থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি লঞ্চেই এই দিন ডেক ছিল পরিপূর্ণ। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলে লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন।

গত রোববার সুরভী-৮ লঞ্চের সামনে গিয়ে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা করে নেওয়ার চিত্র দেখা যায়। এ ছাড়া পারাবত-১২ লঞ্চের সামনে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা করে যাত্রীদের ডাকা হয়। তবে লঞ্চ ছাড়ার দশ মিনিট আগে থেকেই পারাবত লঞ্চের কলম্যানরা ১০০ টাকা করে ডেকের ভাড়া ঘোষণা দিয়ে যাত্রী তুলতে থাকে।

এদিকে লঞ্চে যাত্রী ধরে রাখতে ইতোমধ্যে ভাড়া লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কমিয়ে ফেলেছে। সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ছিল ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সেই ভাড়া এখন নেওয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। আর ডাবল কেবিনের ভাড়াও ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা কমিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অপর দিকে ভিআইপি কেবিনগুলোর ভাড়াও কমানো হয়েছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে। সুরভী-৮ লঞ্চের কলম্যান মোরশেদ হাসান জানান, ৩ জন লোক এসে কেবিন চাইছে ডাবল। ২২০০ টাকার কেবিন অনেক অনুরোধ কইরা ১৫০০ টাকায় দেওয়া হইছে। ডাবল কেবিনে তো ২ জনের ভাড়া রাখা হয়, কিন্তু বাকি একজনের ভাড়া বাকি ছিল সেটাও ফ্রি করে দেওয়া হইছে।

কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি ও সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে যাত্রী অনেকটা কম ছিল। অনেকে সেতু দেখতে বা প্রথম সড়কপথে ঢাকা গেছেন। যাদের জরুরি তো সড়কপথেই যাবেন তারা। আর যারা বিলাসী, তারা কিন্তু বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে ঢাকায় যান। অনেক ভাড়া কমানো হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই লঞ্চে সেই আগের মতো যাত্রী হবে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »