জমিসহ বাড়ি পাচ্ছে খুলনার মিম

জেলা প্রতিনিধিঃ নিজস্ব জমিসহ স্থায়ী ঠিকানা জটিলতায় বাদ পড়া খুলনার মেয়ে মিম আকতারকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আগের পুলিশ প্রতিবেদন সংশোধন করে সঠিক প্রতিবেদন দাখিলের দেওয়া হয়েছে নির্দেশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার সদস্যরা মিমের বাড়ি যান। সেখানে কাগজপত্র সংশোধন করে নিয়ে এসেছেন।
এছাড়া নিজস্ব জমি না থাকায় খুলনা জেলা প্রশাসন মিমের পরিবারকে জমিসহ বাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার এতথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত ভালো একটি সিদ্ধান্ত আসবে। চাকরির সাথে জমিসহ তারা প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি উপহার পাবেন।’
খুলনা জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগ কমিটির প্রধান হলেন এসপি স্যার। এখন ছুটিতে রয়েছেন তিনি। নিশ্চয়ই মিমের ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে আমরা এগোবো।’
এর আগে খুলনা জেলা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের সকল পরীক্ষায় ১ম হন মিম আকতার। মেডিকেল পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় পুলিশ প্রতিবেদন বিপক্ষে যায় তার। যার কারণে মিম চাকরি থেকে বাদ পড়ে যান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রচার হয়।
মিমের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, সোমবার সকালে ডিসি স্যার ডেকে পাঠান। মিমের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র নেন তিনি। পুলিশ প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি অফিসারদের সাথে কথা বলেন। নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ডিসি জমির জন্য আবেদন, ভোটার আইডি কার্ড, ছবি দিতে বলেছেন।
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা ৩য় ফেজের ১১ নম্বর সড়কের ভেতরে চিকিৎসক বাবর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকে মিমের পরিবার। তার বাবা রবিউলের বয়রা মেইন রোডে নিউ সততা বেডিং হাউজ নামে তার লেপ-তোষকের একটি দোকান রয়েছে। মা আছিয়া খাতুন গৃহনী। মিমরা চার বোন, এর মধ্যে বড় ২ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ৩য় মিম আকতার, সবার ছোট মরিয়ম খাতুন।
মিম ও মরিয়ম একই সাথে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ২টি পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এখনও চারটি বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় সবাইকে পেছনে ফেলে ১ম হন মিম। এর আগে ২০১৯ সালে নগরীর পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে চার দশমিক ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাশ করেন মিম।
এবিসিবি /এমআই